আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের লিড

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২৫ বছরেও টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় শান্তর আক্ষেপ, নতুন কিছু দেখানোর প্রতিশ্রুতি
২৫ মিনিট আগে
দিনের শুরুতে বৃষ্টি বাগড়া দেয়ায় খেলা হয়নি প্রথম সেশনে। মাঝে ৩২.৩ ওভার খেলা হলেও শেষ বিকেলটা ভেস্তে গেছে আলোকস্বল্পতায়। মাঝে গ্লেন ফিলিপসের ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে লিড নেয় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় সেশনে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ৩৮ রান তুলতে হারাতে হয়েছে ২ উইকেট। ৩০ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন জাকির হাসান এবং মুমিনুল হক।
মিরপুরে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। লেংথ ডেলিভারিতে টার্ন এবং বাউন্স পেয়েছিলেন এজাজ প্যাটেল। সেটা খেলতে গিয়ে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। মিচেল দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ক্যাচ লুফে নিলে ২ রান করে ফিরে যেতে হয় জয়কে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শান্তও।
টিম সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে থাকা কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ রান করা এই ব্যাটার। এক বল পরই আলোকস্বল্পতার কারণে বন্ধ হয় খেলা। যা পরবর্তীতে শুরু করা সম্ভব হয়নি। জাকির ১৬ রানে অপরাজিত আছেন। এদিকে রানের খাতা খুলতে পারেননি মুমিনুল।
এর আগে বৃষ্টি না থাকলেও ভেজা মাঠের কারণে প্রথম সেশনে ভেস্তে গেছে। প্রায় দুদিন পর সুর্য উঁকি দেয়ায় এবং মাঠ প্রস্তুত হওয়ায় খেলা শুরু হয় বেলা ১২ টায়। দ্বিতীয় সেশনে বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন নাঈম হাসান। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় ড্যারিল মিচেলকে। যেখানে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব মেহেদী হাসান মিরাজের। লং অন এবং মিড অনের মাঝামাঝিতে উঠা ক্যাচ অনেকটা দৌড়ে এসে লুফে নেন তিনি। তাতে ১৮ রানে ফিরে যান মিচেল।

টিকতে পারেননি মিচেল স্যান্টনারও। নাঈমের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি স্যান্টনারের ব্যাটের কানায় লেগে পাড়িয়ে জমায় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। স্যান্টনারকে ফিরতে হয় ১ রান করে। নিউজিল্যান্ড নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্লেন ফিলিপস। পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৩৮ বল খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শুধু তাই নয় কাইল জেমিসনের সঙ্গেও দারুণ এক জুটিও গড়ে তোলেন ফিলিপস।
রাচিন-ডাফিকে পেছনে ফেলে আইসিসির মাসসেরা আইয়ার
১৫ এপ্রিল ২৫তৃতীয় দিনে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা জেমিসন। প্রথম দিন থেকেই ধারাভাষ্য কক্ষে আলোচনা হচ্ছিলো মিরপুরের উইকেটে টিকে থাকা কঠিন।
সেটা ভেবেই হয়ত শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ফিলিপস। একটা সময় মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশ অনায়াসে লিড পাবে। শেষ পর্যন্ত এটা হতে দেননি ফিলিপস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দিয়েছেন দারুণ ব্যাটিং করা এই ব্যাটার। তবে নিউজিল্যান্ডকে লিড বড় করতে দেননি শরিফুল ও তাইজুল ইসলাম। ফিলিপসকে ফিরিয়ে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন শরিফুল।
বাঁহাতি ???ই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন ফিলিপস। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ফিলিপস ফেরেন ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। এরপর তাইজুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টিম সাউদি ফিরলে ১৮০ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। তবুও ৮ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১৭২/১০ (৬৬.২) (জয় ১৪, মুশফিক ৩৫, দিপু ৩১, মিরাজ ২০; ফিলিপস ৩/৩১, স্যান্টনার ৩/৬৫)
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ১৮০/১০ (৩৭.১ ওভার) (ফিলিপস ৮৭, জেমিসন ২০, মিচেল ১৮; মিরাজ ৩/৫৩, তাইজুল ৩/৬৪, নাইম ২/২১, শরিফুল ২/১৫)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৩৮/২ (৮ ওভার) (জয় ২, জাকির ১৬*, শান্ত ১৫; সাউদি ১/৮, প্যাটেল ১/১৩)