রনি ১০২, ঢাকা ১৬৬

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লঙ্কা টি-টেনে কলম্বোর হয়ে খেলবেন রনি
৯ ডিসেম্বর ২৪
আব্দুল মজিদকে ফিরিয়ে আরিফুল হক উইকেট এনে দেয়ার পর ঢাকা ডিভিশনকে রীতিমতো চেপে ধরে রংপুর ডিভিশন। নবীন ইসলামের মিডিয়াম পেস একেবারে দিশেহারা সাইফ হাসান, নাদিফ চৌধুরি। সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত তখন একপ্রান্ত আগলে একাই লড়াই করছিলেন রনি তালুকদার। দারুণ ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত করেছেন সেঞ্চুরিও। তবুও ঢাকা অল আউট হয়েছে ১৬৬ রানে। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছে রংপুর। ৩৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামবে তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মজিদকে বিদায় করেন আরিফুল। ডানহাতি এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে থাকা মীম মোসাদ্দেকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তিনে নামা সাইফ সেই আরিফুলকেই উইকেট দিয়েছেন ৮ রান করে।

রনি এক প্রান্তে রান তুলতে থাকলেও তাকে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। আরিফুলের পর ঢাকার ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান নবীন। ডানহাতি এই পেসারের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন তাইবুর রহমান, শুভাগত হোম চৌধুরি, সুমন খান, আনামুল হক এবং সালাউদ্দিন সাকিল। তাদেরকে ফিরিয়ে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন মাত্র ২৮ রান খরচায়।
জাওয়াদের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি, মুশফিক-শান্তর রাজশাহীর বিদায়
১৮ ডিসেম্বর ২৪
এদিকে হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন রনি। সেঞ্চুরির পর ১০২ রানে আউট হয়েছেন ঢাকার এই ওপেনার। রনি ফেরার পর ১৬৬ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। রংপুরের হয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন নবীন। এ ছাড়া আরিফুল ও আসাদুল্লাহ হিল গালিব নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুরও। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সালাউদ্দিন সাকিলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন মাইশুকুর রহমান। বল হাতে আগুন ঝড়ানো নবীন ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মিম মোসাদ্দেক ও মেহেদী মারুফ।
তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৫ রান। তাদের জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুমন খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৪৩ রানের ইনিংস খেলে। এরপর রংপুরকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি মিম মোসাদ্দেক ও তানবীর হায়দার। মিম মোসাদ্দেক ৫৫ রানে এবং তানবীর অপরাজিত আছেন ১১ রান করে।