কাউন্টি ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলবে নেদারল্যান্ডস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার
১৭ এপ্রিল ২৫
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটকে ধরা হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে কাছাকাছি মানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। কাউন্টিতে খেলার জন্য সারা বিশ্বের ক্রিকেটাররাই মুখিয়ে থাকেন। যদিও কোলপাক চুক্তি বাতিলের ফলে বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ এখন অনেকাংশেই কমে গেছে।
এবার সেই কাউন্টিতে পুরো দল নিয়েই নামতে চলেছে নেদারল্যান্ডস। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টেও খেলতে দেখা যাবে ডাচদের। কদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকে টপকে বিশ্বকাপে নাম লিখিয়ে চমকে দিয়েছিল দলটি। এবার তারা নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়নে কাউন্টিতে খেলার ঘোষণা দিয়েছে।

অবশ্য এবারই নতুন নয়। এর আগে ২০১৩ সালে ইয়র্কশায়ার ব্যাংক ফোরটি লিগে খেলেছিল নেদারল্যান্ডস। ২১ দলের লড়াইয়ে সেবার গ্রু পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেই আসরে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কাউন্টি লিগে অংশ নিয়েছিল গ্রেট ব্রিটেনের আরেক রাজ্য স্কটল্যান্ডও।
১৪ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে স্টোন, ইংল্যান্ডের বড় ধাক্কা
৫ এপ্রিল ২৫
নেদারল্যান্ডসের কাউন্টিতে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ম্যানেজার রোনাল্ড লেফবেভরে। তিনি বেশ আনন্দিত কাউন্টিতে ফিরতে পেরে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আবারও কাউন্টি লিগে যোগ দিতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আগেও আমাদের উন্নয়নে এটা দারুণ অবদান রেখেছি।'
বর্তমানে ১৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট। ২০২৫ সাল থেকে কাঠামোতে অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টটি। যেখানে যোগ দিতে যাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি দল। এই সুযোগটাই লুফে নিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। দলটি মেট্রো ব্যাংক ওয়ানডে কাপেও খেলতে চলেছে। নেদারল্যান্ডসের আগে কাউন্টিতে আবারও যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল স্কটল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে লেফবেভরে বলেন, 'টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলা বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কাজে দেবে। আমরা গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দেখিয়েছি আমাদের এই ধরনের ম্যাচগুলো আয়োজনের সুবিধা দিতে পারি। ইংল্যান্ডের দর্শকরা ভ্রমণে এসে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিল।'
কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা নিজেদের বিকাশ করতে পারবেন বলেও মত তার। ডাচ ক্রিকেটের এই কর্মকর্তা বলেন, 'সম্পূর্ণ পেশাদার ক্রিকেটারদের বিপক্ষে নিয়মিত কাউন্টি ক্রিকেটে খেললে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটাররা নিজেদের উন্নতির সুযোগ পাবে।'