বাংলাদেশের খেলায় টেস্ট ক্রিকেটের ‘আদর্শ’ দেখছেন ট্রট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের ইংরেজী ভীতির কারণে ঢাকা টেস্টে টানা পাঁচদিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন দলটির প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট। ম্যাচের আগের দিন থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত সবদিনই দারুণভাবে সংবাদ সম্মেলন সামলেছেন সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটার।
বিব্রতকর পরাজয়ের পরও গণমাধ্যমের সামনে সাবলীল ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দেয়া ৬৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে মাত্র ১১৫ রানে। এই হারের পর নিজেদের ব্যর্থতার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কৃতিত্বও দেখছেন তিনি।

ট্রট বলেছেন, 'অবশ্যই অনেক হতাশাজনক। একদম শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলতে পারিনি। প্রায় ২৭ মাস কোনো টেস্ট খেলিনি আমরা। ক্রিকেটাররা ৪ দিন আগে আসে এখানে। টেস্ট ম্যাচের জন্য যথার্থ প্রস্তুতি নিতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আরও ভালো কিছু করতে হতো। সব কিছু মিলিয়েই হতাশাজনক। হয়তো কিছু ভালো পারফরম্যান্স ছিল আমাদের। তবে তা যথেষ্ট ও ধারাবাহিক ছিল না।'
৩৪ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৭ জানুয়ারি ২৫
আফগানস্তান কিছু কিছু সময় ভালো খেললেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। উল্টো বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি সেশনেই রাজত্ব করেছে। এই দুই দলের তুলনা করে ট্রট বলেন, 'আমার মতে, এখানে বিষয়টি হলো প্রতিপক্ষ বেশি ভালো খেলেছে এবং নিজেদের কাজটি তারা ধারাবাহিকভাবে করে গেছে। লাইন-লেংথ ধরে রেখে টানা বোলিং করেছে। আমরাও সেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি।'
বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত দুই ইনিংসে করেছেন ১৪৬ ও ১২৪। অন্যদিকে আফগানিস্তানের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৭৩ বলে ৩০ রানের (বলের হিসেবে)। এখানেই বড় পার্থক্য দেখছেন ট্রট। টাইগার পেসাররা রীতিমতো আফগান ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন। বাংলাদেশের স্পিনাররাও কম যাননি বলে মনে করেন এই কোচ।
ট্রটের ভাষ্য, 'তাদের ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে... সবচেয়ে লম্বা ইনিংস ছিল সম্ভবত রহমত শাহর, ৭০ বলের (৭৩ বল)। এই ম্যাচে তাদের একজন ব্যাটসম্যান জোড়া সেঞ্চুরি করেছে। এটিও দেখিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে আসলে আদর্শ কী! আমার মতে, তাদের স্পিনাররাও ভালো করেছে। অন্য দিকে আমাদের স্পিনাররা নিখুঁত বোলিং করতে পারেনি।'
বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, 'আমার মতে, এটি (বাংলাদেশের পেস আক্রমণ) খুব ভালো। গতি আছে ভালো। এমন পেস আক্রমণ নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে। তাদের দারুণ স্পিনারও আছে, তারা জানে কীভাবে নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগাতে হয়। তো পুরো কৃতিত্ব তাদের।'