|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

আয়ারল্যান্ডকে সিরিজে ফেরালেন স্টার্লিং ও ক্যাম্ফার

১৬ ফেব্রুয়ারি ২৫

ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মারদের একজন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরের আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। মৃত্যুঞ্জয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে।

এরই মধ্যে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৩১ রানে ৩ উইকেট। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরে ১১ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এর আগের বিপিএলে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করার পর থেকেই আলোচনায় আছেন তিনি।

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ যে দলটা বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে সেই দলের অংশ ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ও। তবে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্টটিতে খেলা হয়নি তিনি। তাকে মাঠে ফেরাতে অস্ট্রেলিয়াতে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিল বিসিবি। ফিরে নিয়মিত পারফর্ম করে বিসিবির আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি।

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয় ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছেন, 'জাতীয় দলে সুযোগ পেলে সবারই ভালো লাগে, আমারও ভালো লাগছে। এতদিনের পরিশ্রমের সুফল পেলাম।’

আরো পড়ুন

সিমন্স-মুশতাকের সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি বাড়াচ্ছে বিসিবি

৫ ঘন্টা আগে

সবশেষ কবছরে দারুণভাবে উন্নতি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। একটা সময় ভালো করতে কেবলই স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো অধিনায়কদের। তবে সেই সময়টা বদলে গেছে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর এবাদত হোসেনদের উন্নতি। যার ফলে পেস ইউনিটে বেড়েছে প্রতিযোগিতা। বর্তমানে পেস ইউনিট থেকে বাদ পড়লে সেখানে আবারও ফেরা বেশ কঠিন। 

এমন প্রতিযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘সহজ সময়ে তো যে কেউ দলে ঢুকতে পারে। কঠিন (পেসারদের প্রতিযোগিতার) সময়ে জায়গা পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করা এটা কঠিন বিষয়। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেব যে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে যদি প্রমাণ করতে পারি তাহলে সহজ পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করা আরও সহজ হবে।'

ছোটবেলায় মৃত্যুঞ্জয়ের ক্রিকেটে হাতেখড়ি বাবার হাত ধরে। এরপর ২০১০ সাল থেকে ক্রিকেট বলে অনুশীলন শুরু। ধাপে ধাপে মৃত্যুঞ্জয় খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও। অবশেষে জাতীয় দলের আঙিনায় পৌঁছে গেছেন তিনি। ছোট থেকে পরিচর্যার জন্য বিসিবির প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই পেসার।

তিনি বলেন, 'শুরু বলতে গেলে ছোটোবেলা থেকেই আমার আব্বুর ইচ্ছে ছিল আমাকে ক্রিকেটার বানাবে। সেভাবেই আমাকে তৈরি করেছেন। ২০১০ সাল থেকে আমি ক্রিকেট বলে অনুশীলন করি। এভাবেই ধীরে ধীরে উঠে আসা। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি। এরপর বিপিএলে পারফর্ম করেছি। আমি বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন আমি ইনজুরিতে পড়েছিলাম। তারা আমাকে অস্ট্রেলিয়াতে পাঠিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। এরপরও তারা আমাকে নিয়মিত পরিচর্যা করেছে।'