নাঈম-মুমিনুলের হাফ সেঞ্চুরি ম্লান করে শাইনপুকুরের জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাসিরের ফিফটির ম্যাচে হারল রূপগঞ্জ, সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ
১০ এপ্রিল ২৫
নাঈম ইসলাম এবং মুমিনুল হকের হাফ সেঞ্চুরির পরও লড়াই করার মতো রান তুলতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। ম্যাচের এক পর্যায়ে দ্রুত ৪ উইকেট হারালেও সংগীত মালিন্দু কুরে এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দৃঢ়তায় রূপগঞ্জের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্য অতিক্রম করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনের ম্যাচটিতে দুই উইকেটের জয় পায় অমিত হাসানের দল।
বিকেএসপি'র ৩ নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২১৬ রান তোলে রূপগঞ্জ। যদিও শুরুটা খুব বেশি ভালো হয়নি তাদের। অষ্টম ওভারের মধ্যেই ওপেনার ইমরানউজ্জামানের উইকেট হারায় তারা।
২০ বলে ১১ রান করে ফরহাদ রেজার বলে উইকেটরক্ষক অমিতকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই উইকেটরক্ষক। ১২ ওভারের মধ্যে ফিরে যান আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনও। শাইনপুকুরের লঙ্কান রিক্রুট সংগীত মালিন্দু কুরের বলে তাকে স্টাম্পিং করেন অমিত।

ফেরার আগে ৪১ বলে ১৯ রান করেন এই ওপেনার। তারপর ১১৮ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক এবং এবং নাঈম ইসলাম। দলটির রান বাড়ানোর পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন এই দুজনই।
দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করানোর কোনো অধিকার নেই কারো: তামিম
২৫ এপ্রিল ২৫
আস্তে আস্তে রান তুলতে গিয়ে ৪১তম ওভারে ফিরে যান মুমিনুল। নাবিল সামাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফ অঞ্চলে ফরহাদ রেজার মুঠোবন্দী হন নাবিল মুমিনুল। ফেরার আগে ১০২ বলে পাঁচটি চারে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
হাসান মুরাদ, ফরহাদদের বোলিংয়ের তোপে এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে রূপগঞ্জ। কেবল একপ্রান্ত সামনে রাখেন নাঈম। ১০৪ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শেষদিকে সানজামুল ইসলাম তোলেন ১৩ বলে অপরাজিত ১৪ রান। শাইনপুকুরের হয়ে ৪২ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন ফরহাদ। একটি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ, সংগীত এবং হাসান মুরাদ একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে শাইনপুকুর। উদ্বোধনী জুটিতেই ৫০ রান তোলে তারা। ৩৩ বলে ৩৪ রান করে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফ অঞ্চলে আলাউদ্দিন বাবুর ক্যাচে বিদায় নেন খালিদ হাসান।
দলীয় ৭৫ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় শাইনপুকুর। একে একে বিদায় নেন অভিষেক মিত্র (২০), অমিত হাসান (৯) এবং শামসুর রহমান (১)। এখান থেকে দলটিকে টেনে তোলেন সংগীত এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
৮২ বলে ৫৬ রান তুলে সংগীত ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে। তার উইকেটটি নেন সানজামুল ইসলাম। এরপরের ওভারে ফিরে যান সাজ্জাদুল হক রিপনও। মুগ্ধর বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে বিদায় নেন তিনি।
তারপর ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দল জেতান বিপ্লব এবং ফরহাদ। ৮০ বলে ৫০ রান তুলে অপরাজিত থাকেন বিপ্লব। ৩৩ বলে ৩৬ রান তুলে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ। ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দলটি।