শান্ত-সাকিবের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তামিম ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নন, তবে ‘ভালো বন্ধু’ সাকিবের
২ মিনিট আগে
ক্রিস জর্ডানের করা ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও থার্ডম্যানে থাকা স্যাম কারেন ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি। উল্টো চার হয়ে গেলে বাংলাদেশের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। দ্বিতীয়বারের দেখায় ২০ ওভারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
অসাধারণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৫৬ রানে থামানোর পর ব্যাট হাতেও উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। এদিন ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদারকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। দুজনই শুরু থেকে চড়াও হন ইংলিশ বোলারদের ওপর। তাতেই ৩ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩২ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
অবশ্য চতুর্থ ওভারেই আদিল রশিদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে ২১ রান করে বোল্ড হন রনি। পাওয়ার প্লের মধ্যে সাজঘরে ফিরেছেন লিটনও। তিনি জোফরা আর্চারের করা শর্ট অব লেন্থ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে আউট হয়েছেন। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান।
দুই ওপেনার ফিরে গেলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মিলে বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন। বিশেষ করে শান্ত ছিলে খুনে মেজাজে। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়াম পেসার মার্ক উডের এক ওভারে টানা চারটি চারও মেরেছেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে এই টাইগার ব্যাটার খরচা করেছেন মাত্র ২৭ বল।
দারুণ খেলতে থাকা হৃদয়কে আউট করেছেন মঈন আলী। এই ইংলিশ স্পিনারের বেরিয়ে যাওয়া বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্যাম কারানের হাতে। হাফ সেঞ্চুরির পর উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি শান্ত। তাকে বোল্ড করেছেন মার্ক উড। এই ইংলিশ পেসারের গুড লেন্থ ডেলিভারির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন শান্ত।

এরপর বাকি দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার অপরাজিত ৩৪ রানেই বাংলাদেশের বড় জয় সহজ হয়েছে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৫ রান করে।
চোট কাটিয়ে ফিরলেন অ্যাটকিনসন
১৯ ঘন্টা আগে
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। অবশ্য বল হাতে নেমে শুরু থেকেই ইংলিশ ব্যাটারদের চাপে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলে নেয়।
শুরুর দিকে অবশ্য জস বাটলারকে ফেরানোর সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের সামনে। নাসুম আহমেদের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাটলারের ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব আল হাসান। নাসুমের লেংথ ডেলিভারিতে জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বাটলার। যদিও ব্যাটে বলে ঠিক মতো না হলে তা চলে যায় মিড অনে। সেখানে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি সাকিব।
সুযোগ পেয়ে আরও আগ্রাসী খেলতে থাকেন বাটলার। যদিও ৯.৫ ওভারের সময় ব্রেক থ্রু পায় বাংলাদেশ। ফিল সল্টকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন নাসুম আহমেদ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি সল্ট। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিয়েছেন তিনি। সল্টের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কায়। ৮০ রানে ভাঙে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। তারপরের উইকেট নিতে অবশ্য বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশ।
১১.৫ ওভারে দাভিদ মালানকে ফেরান সাকিব। ৭ বলে ৪ রান করা মালান উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অন অঞ্চলে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন। দলীয় ১৩৫ রানে বেন ডাকেট এবং বাটলারের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১৩ বলে ২০ রান করা ডাকেটকে ইনসাইড এজে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
তারপরের ওভারেই বাটলারকে বিদায় করেন হাসান মাহমুদ। ৪২ বলে চারটি চার এবং সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬৭ রান করে ফিরে যান বাটলার। ডিপ অঞ্চলে শান্তর তালুবন্দি হন বাটলার। হাসানের বলে শান্তর ক্যাচে ফিরে যান স্যাম কারানও। ১১ বলে ছয় রান করেন এই অলরাউন্ডার। শেষমেশ ছয় উইকেটে ১৫৬ তুলে থামে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ইংল্যান্ড- ১৫৬/৬ (২০ ওভার) (বাটলার ৬৭, সল্ট ৩৮; হাসান ২/২৬, সাকিব ১/২৬)
বাংলাদেশ- ১৫৮/৪ (১৮ ওভার) (লিটন ১২, রনি ২১, শান্ত ৫১, হৃদয় ২৪, সাকিব ৩৪*, আফিফ ১৫*)