রংপুরের জয়ের নায়ক মালিক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
বয়সটা ৪০ এর কোঠায়। এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বড় নাম শোয়েব মালিক। ফর্ম কিংবা ফিটনেসে ??খনও যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারকে টেক্কা দিতে পারেন এই পাকিস্তানি। শুক্রবার বিপিএলে আবারও ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়েছেন মালিক। খেলেছেন ৩৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি ঠিকই। কিন্তু ব্যাট হাতে দলের জেতার পথটা তিনিই তৈরি করে দিয়ে গেছেন। খুলনার করা ১৩০ রানের জবাবে ৩ বল হাতে রেখে রংপুর রাইডার্স জয় পেয়েছে ৪ উইকেটের। শেষ পর্যন্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারি ১০ বলে ১৬ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এদিন মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও রংপুরকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও পাকিস্তানি রিক্রুট সাইম আইয়ুব। রনি মাত্র ১ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের লেন্থ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাইম। তাকে লেগ বিফোর উইকেট বানিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। তিন নম্বরে প্রমোশন দেয়া হয়েছিল স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীকে। তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। রিয়াজের অফ স্টাম্পের বল তুলে মারতে গিয়ে তিনি ডিপ ফাইন লেগে নাসুম আহমেদের ক্যাচ হন ১৪ রান করে।
মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছি, পুরো আসরেই দল হিসেবে খেলব: সোহান
১১ জুলাই ২৫
চতুর্থ উইকেটে দলের কিছুটা হাল ধরেছিলেন নাইম শেখ ও শোয়েব মালিক। শুরু থেকেই মেরে খেলছিলেন নাইম। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার। নাসুমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়াহাবকে ক্যাচ দিয়ে ২১ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে নাইমের।
একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা মালিককে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। তিনি আউট হয়েছেন ১০ রান করে। ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মালিক ফিরে গেলে রংপুরকে জিতিয়ে ফিরেছেন শামীম ও আজমতউল্লাহ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল-শারজিল খানদের বিদায়ে শুরুতেই থাক্কা খায় খুলনা টাইগার্স। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। ওমরজাই সহজ ক্যাচ লুফে নিলে ১ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে।
তিনে নেমে ঠিকতে পারেননি শারজিল খানও। ওমরজাইয়ের ওভারে চার-ছক্কা মারার পর বোল্ড হয়েছেন তিনি। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১২ রান করা শারজিল। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান। রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ রান করা এই ব্যাটার।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ রান তোলে খুলনা। এরপর অবশ্য জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী রাব্বি এবং আজম খান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন পেসার রবিউল হক। ডানহাতি এই পেসারের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক। রাব্বির ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ২৫ রান।
পরের ওভারে আউট হয়েছেন আজম। রকিবুলের বলে ওমরজাইয়ের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে সেঞ্চুরি করা আজম এদিন আউট হয়েছেন ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ২২ রান কেবল খুলনার পুঁজি বাড়িয়েছে। রংপুরের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন রবিউল।