'কঠিন ম্যাচে স্বরণীয় জয়টা মধু্র'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাহুলের সেঞ্চুরির দিনে ইংল্যান্ডের সমান ৩৮৭ রানে থামল ভারত
২ ঘন্টা আগে
মিরপুরে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দুই বার দুইশোর্ধ্ব রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করে সফল হয়েছে ব্যাটিং দল। আর একশোর্ধ্ব রানের লক্ষ্যামত্রা তাড়ায় সেই সংখ্যাটা চার। এমন উইকেটে ভারতকে ১৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করার আগেই ভারতের টপ অর্ডারের চার ব্যাটার সাজঘরে ছিল। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে সফরকারীরা। এমন কঠিন ম্যাচের জয়টাকে মধুর বললেন ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে শুরু হওয়া রোমাঞ্চ টিকে থাকলো পরদিন সকালেও। শিশির ভেজা সকালে বাংলাদেশের আশার আলো আরও খানিকটা জ্বালিয়ে দেন সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬.৩ ওভারের মধ্যেই নেই ভারতের পরের তিন ব্যাটার। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই শেষ ঋষভ পান্ত। থিতু হওয়া অক্ষর প্যাটেলকে ফিরিয়ে ততক্ষণে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ।

তবে এরপরই পরিবর্তন হতে থাকে ম্যাচের দৃশ্যপট। মুমিনুল হকের ক্যাচ মিসে জীবন পেয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দারুণ ব্যাটিংয়ে সঙ্গ দিলেন শ্রেয়াস আইয়ারকে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রঙিন স্বপ্নকে বিষাদে রূপ দিয়ে ভারতকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন আইয়ার-অশ্বিনের ৭১ রানের জুটি।
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
১৬ ঘন্টা আগে
রাহুল বলেন, 'কঠিন ম্যাচ ছিল। স্বস্তির ব্যাপার যে কাজটা আমরা শেষ করতে পেরেছি। আমরা বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম, ড্রেসিংরুম স্নায়ুচাপে ভুগছিল। খুবই খুশি যে অশ্বিন ও শ্রেয়াস জুটি গড়ে ম্যাচটা জিতিয়েছে। কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল, এটাই টেস্ট ক্রিকেটকে মজার করেছে। যখন কন্ডিশন কঠিন হয়, তখন আপনার কারেক্টার পরীক্ষা হয়। আমরা এভাবে খেলতে পছন্দ করি। কঠিন ম্যাচ কিন্তু যখন স্মরণীয় জয় আসে তখন সেটা মধুর ব্যাপার।'
এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ১৮৮ রানের বড় জয় পেয়েছিল ভারত। এবার মিরপুরে রোমাঞ্চকর ৩ উইকেটের জয়। আর তাতে দুই টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা। সাদা পোশাকে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলেও রঙিন ছিল রঙিন পোশাকে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সব মিলিয়ে দুই দলের এই লড়াই উপভোগ করেছেন রাহুল।
তিনি বলেন, 'খুবই ভালো সিরিজ। অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কিছু শেখার ছিল। ওয়ানডে সিরিজ হারটা ভালো ছিল না, কিন্তু হার থেকেও শেখা যায়। টেস্ট সিরিজে খুব ভালো লড়াই হলো। বাংলাদেশ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ৩০-৩২ ওভার পর্যন্ত তারাই দাপট দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য কাজটা করে দিয়েছে অশ্বিন ও শ্রেয়াস। এটা দুর্দান্ত সিরিজ। আশা করছি পরেরবার এখানে এলে অনেক কিছু নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।'