অন্যদল এসব মিস করে না, ফিল্ডিং নিয়ে সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাকিবের জন্য সব সময় দরজা খোলা: মিঠু
১৯ ঘন্টা আগে
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ডিফেন্স করার চেষ্টা করলেন, তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হলো না। ডানহাতি এই ব্যাটারের গ্লাভসে লেগে বল শর্ট লেগে ক্যাচ উঠলেও সেটা লুফে নিতে পারলেন না মুমিনুল হক। তাতেই বদলে গেল ম্যাচের চিত্র। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে ভারতকে দারুণ জয় এনে দিলেন অশ্বিন। শুধু এটি নয় পুরো সিরিজেই বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। যা নিয়ে টেস্ট হারের পর আক্ষেপ করেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়কের উপলব্ধি, তারা যেসব মিস করেন এগুলো অন্যদল করে না।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা আউট হওয়ার ঋষভ পান্তকেও দ্রুতই বিদায় করতে পারতো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চে যাওয়ার ঠিক আগের ওভারে মিরাজের লেংথে ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি পান্ত। আউটসাইড এইডজ হয়ে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের জন্য এটা কঠিন সুযোগ ছিল। তবে তার পর্যন্ত পৌঁছায়নি বল, ফলে বিপদও হয়নি ভারতের।

এরপর আইয়ারকেও জীবন দিয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ৪৪তম ওভারের তাসকিনের গুড লেংথে পড়ে লাফিয়ে উঠা বল ঠিকঠাত ব্যাটে-বলে করতে পারেননি আইয়ার। তার ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে বল চলে যায় পয়েন্টে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজ শূন্যে লাফিয়ে বলে হাত লাগালেও তা তালুবন্দি করতে পারেননি। এরপর অবশ্য প্রথম ইনিংসের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেছেন নুরুল হাসান সোহান।
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
১৬ ঘন্টা আগে
সাকিবের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি আইয়ার। প্রথম দফায় সোহানও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তাতে সহজ স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়। জীবন পাওয়ায় পান্ত এবং আইয়ারই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। আউট হওয়ার আগে পান্ত ৯৩ আর আইয়ার খেলেছিলেন ৮৭ রানের ইনিংস। তাতেই প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের লিড পায় ভারত।
অল্প রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে মুমিনুল অশ্বিনের ক্যাচ ফেলা দেয়া শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছেড়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এসবকে ক্রিকেটের অংশ বললেও ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, সুযোগগুলো নিতে পারলে প্রথম ইনিংসে ২৫০ রানেই আটকে যেতো ভারত।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘একটু তো হতাশাজনক। কারণ এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসেও অবশ্যই সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ, তবে হতাশানজক যে অন্য দলগুলো এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি।’
যদিও ২০২২ সালে বাংলাদেশ ভালো ফিল্ডি করেছে বলে দাবি করেছেন সাকিব। উদাহরণ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিল্ডারদের পারফরম্যান্স সামনে এনেছেন তিনি। তবে এটা স্বীকার করেছেন টেস্টে বাংলাদেশ সেভাবে ভালো ফিল্ডিং করতে পারেননি। সাকিব মনে করেন, হয়তো ক্রিকেটারদের মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা কিংবা ফিটনেসের কারণে এমন হচ্ছে।
সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি। বেশ ভালো করেছি। ওয়ানডে সিরিজেও (ভারতের বিপক্ষে) ভালো করেছি। টেস্ট ম্যচে আমরা ওইভাবে ভালো করতে পারিনি। হতে পারে মনোযোগের ঘাটতি, কে জানে, হতে পারে ফিটনেসের ঘাটতি বা অন্য কিছুও হতে পারে। তবে এসব খুঁজে বের করতে হবে যে কীভাবে আমরা আরও বড় সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি এবং ভুলগুলো না করি। আমি নিশ্চিত, অন্য কোনো দলই এতগুলো সুযোগ দিতো না, যতটা সুযোগ আমরা দেই।’