স্বপ্নের মতো শুরুর পর বিষাদে শেষ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
১৬ ঘন্টা আগে
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে শুরু হওয়া রোমাঞ্চ টিকে থাকলো পরদিন সকালেও। শিশির ভেজা সকালে বাংলাদেশের আশার আলো আরও খানিকটা জ্বালিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬.৩ ওভারেই নেই ভারতের পরের তিন ব্যাটার। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই শেষ ঋষভ পান্ত। থিতু হওয়া অক্ষর প্যাটেলকে ফিরিয়ে ততক্ষণে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। তবে মুমিনুল হকের ক্যাচ মিসে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। জীবন পেয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দারুণ ব্যাটিংয়ে সঙ্গ দিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রঙিন স্বপ্নকে বিষাদে রূপ দিয়ে ভারতকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন আইয়ার-অশ্বিনের ৭১ রানের জুটি। বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আরও কাছে ভারত।
মিরপুরে আগের দিনের ৪ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। দিনের প্রথম ওভারে মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন জয়দেব উনাদকাট। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না তিনি। বল প্যাডে আঘাত হানতেই মিরাজের জোরালো আবেদন, সঙ্গ দিলেন সতীর্থরাও। কিন্তু তাদের আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পয়ার।
খানিকটা সময় নিয়ে রিভিউ নিলো বাংলাদেশ। তবে আম্পায়ার্স কলের সুবাদে বেঁচে যান উনাদকাট। পরের বলে লেংথে পেয়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন এই ব্যাটার। যদিও তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি সাকিব। এদিন নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই আউট করেছেন উনাদকাটকে। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ব্যাকফুটে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা সরাসরি প্যাডে লাগলে আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি ১৩ রান করা উনাদকাটের।

ঢাকার উইকেটে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হতে পারতেন ঋষভ পান্ত। সাকিবের বলে রিভার্স সুইপ করে চার মেরে সেটার আভাসও দিয়েছিলেন। তবে পান্তকে ইনিংস বড় করতে দেননি মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটার আউট মাত্র ৯ রানে। ভারতের ব্যাটারদের মাঝে একমাত্র সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন অক্ষর প্যাটেল। তবে এদিন তাকে সুবিধা করতে দেননি মিরাজ।
‘শেষে যা ঘটেছে, ওটা খেলারই অংশ’, গিলের আগ্রাসন নিয়ে রাহুল
৭ মিনিট আগে
৩৪ রান করা অক্ষরকে বোল্ড করে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এরপর লেগ শর্টে দাঁড়িয়ে মুমিনুল অশ্বিনের ক্যাচ মিস করলে জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান তিনি। আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত অশ্বিন ৪২ আর আইয়ার অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৫টি এবং সাকিব দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন):
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ২২৭/১০ (৭৩.৫ ওভার) (শান্ত ২৪, জাকির ১৫, মুমিনুল ৮৪, সাকিব ১৬, মুশফিক ২৬, লিটন ২৫, মিরাজ ১৫)
ভারত (প্রথম ইনিংস)- ৩১৪/১০ (৮৬.৩ ওভার) (পান্ত ৯৩, আইয়ার ৮৭; তাইজুল ৪/৭৪, সাকিব ৪/৭৯)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৩১/১০ (৭০.২ ওভার) (শান্ত ৫, জাকির ৫১, মুমিনুল ৫, সাকিব ১৩, মুশফিক ৯, লিটন ৭৩, সোহান ৩১, তাসকিন ৩১*)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৪৫/৭ (৪৭ ওভার) (গিল ৭, রাহুল ২. পূজারা ৬, অক্ষর ৩৪, উনাদকাট ১৩, পান্ত ৯, অশ্বিন ৪২*, আইয়ার ২৯*; মিরাজ ৫/৬৩)