'বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণেই লিড পায়নি বাংলাদেশ'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
র্যাঙ্কিংয়ে তাইজুলের উন্নতি, পেছালেন শান্ত-মুশফিক
২ জুলাই ২৫
দ্বিতীয় দিনে মিরপুরের উইকেটে স্পিন ধরবে সেটা অনুমেয়ই ছিল। ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি। ভারতের ব্যাটারদের যথেষ্ট ভুগিয়েছেন সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরা। তবে ভালো বোলিংয়ের পরও দিনশেষে তাইজুলের কন্ঠে ছিল হতাশা। সেটা ফিল্ডিংয়ের কারণে। টেস্ট ক্রিকেটে যেখানে হাফ চান্সকে দুই হাত ভরে লুফে নিতে হয়, সেখানে বাংলাদেশ একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারতো বাংলাদেশ, এমনটাই বলেছেন তাইজুল।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই ভারতের দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এরপর চেতেশ্বর পূজারা কিংবা বিরাট কোহলিরাও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে ঋষব পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ার পঞ্চম উইকেটে ১৫৯ রানের জুটি গড়ে লিড এনে দেন ভারতকে।

অথচ এই দুইজনের কেউই হাফ সেঞ্চুরি পেতেন না, যদি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সুযোগ নষ্ট না করতেন। একাধিকবার ক্যাচ ফেলেছেন ফিল্ডাররা, তাছড়া স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেছেন উইকেটকিপার। এসব সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে দিনশেষে আরও ভালো অবস্থানে থাকতো বাংলাদেশ।
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
১৬ ঘন্টা আগে
তাইজুল বলেন, 'সেই সময় দুই-তিনটা সুযোগ আসছিলো। আমরা যদি ওই দুই-তিনটা সুযোগ নিতে পারতাম তাহলে কিন্তু আমাদের রানের আগেই, তাদের অলআউট করা সম্ভব ছিলো। তো সুযোগ নেয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময় জয়ের আশা দেখি। ভারতকে হারাতে পারলে তো অবসশ্যই ভালো লাগবে, শুধু আমার না, আপনাদেরও। তো আমরা চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আমরা জেতার জন্যই খেলবো।'
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা পান্ত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মাত্র ৪৯ বলে। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটার স্পিনার কিংবা পেসার সবার বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। শেষ পর্যন্ত মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ৯৩ রান করা পান্ত।
পান্তের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তাইজুল বলেন, 'সে (পান্ত) আক্রমণাত্মক খেলে, যেখানেই খেলে। আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে তাদের ডট খেলানো যায় এবং উইকেটটা যেনো তাড়াতাড়ি নিতে পারি। এই উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আমাদের জন্য।'