১২ বছর আর ১১৮ টেস্টের অপেক্ষা ফুরিয়ে অমরনাথ-পতৌদিকে ছাড়ালেন উনাদকাট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাহুলের সেঞ্চুরির দিনে ইংল্যান্ডের সমান ৩৮৭ রানে থামল ভারত
২ ঘন্টা আগে
অভিষেকের বিবর্ণ পারফরম্যান্সে পরের ম্যাচেই বাদ পড়েছিলেন জয়দেব উনাদকাট। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে ডাক পড়েনি বাঁহাতি এই পেসারের। ১২ বছর পর বাংলাদেশ সফরে ডাক পাওয়ার পর এবার সুযোগ মিলল একাদশেও। তাতেই অপেক্ষা ফুরালো উনাদকাটের।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার পরই ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের এই পেসার। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ১১০ রান খরচা করা উনাদকাট ছিলেন উইকেটশূন্য। ভারতও ম্যাচ হারে ইনিংস ও ২৫ রানে। তাতেই কপাল পুড়ে ৩১ বছর বয়সি এই পেসারের।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন উনাদকাট। বিশেষ করে সর্বশেষ ৫ বছর ক্রমশই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। ২০১৯-২০ মৌসুমে সামনে থেকে পারফর্ম করে সৌরাষ্ট্রকে প্রথমবারের মতো রঞ্জি জিতিয়েছিলেন এই পেসার। সেবার ৬৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
যা রঞ্জি ট্রফিতে এই মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। রঞ্জিতে সর্বশেষ তিন মৌসুমে খেলা ২১ ম্যাচে উনাদকাটের উইকেট ১১৫টি। ২০২১৯ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪ ম্যাচে ১২৬ উইকেট নিয়েছেন উনাদকাট। নয়বার ৫ উইকেট এবং তিনবার ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়া এই পেসারের বোলিং গড় ১৬.০৩, যা এই সময়ে সবচেয়ে কম।
এমন পারফরম্যান্সের পর মোহাম্মদ শামির ইনজুরিতে বাংলাদেশ সফরে ডাক পান উনাদকাট। ভিসা জটিলতায় চট্টগ্রাম টেস্টের সময় দলের সঙ্গে থাকতে পারেনি তিনি। তবে দেরিতে আসা এই পেসার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা টেস্টে, কুলদীপ যাদবের জায়গায়। তাতে ১২ বছর ২ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে ৩১ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের।
সময়ের হিসেবে সবচেয়ে বেশিদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন এমন তালিকায় ১১ নম্বরে রয়েছেন। ভারতের হয়ে তার চেয়ে বেশি সময় দলের বাইরে ছিলেন কেবল লালা অমরনাথ (১২ বছর ১২৯ দিন) ও ইফতিখার আলী খান পতৌদি (১২ বছর ১০ দিন)। আর সবমিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ২২ বছর ২২২ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে আথানাসিওস ট্রাসিওসকে।
ম্যাচের হিসেবে অবশ্য দুইয়ে উনাদকাট রয়েছেন দুই নম্বরে। বাঁহাতি এই পেসারের অভিষেকের পর ১১৮ টেস্ট খেলেছে ভারত। যার কোনটিতেই ছিলেন না তিনি। তার চেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ মিস করার রেকর্ড আছে কেবল গ্যারেথ ব্যাটির। ইংল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার মিস করেছেন ১৪২ টেস্ট।