promotional_ad

অধারাবাহিক সাউথ আফ্রিকার আস্থার জায়গা পেস ইউনিট

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


আরো পড়ুন

শিরোপা জেতানো বাভুমা-রাবাদা-মার্করামদের ছাড়াই সাউথ আফ্রিকার টেস্ট দল

২০ জুন ২৫
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরছে সাউথ আফ্রিকা

গত রবিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্ব সেরা হওয়ার এই লড়াইয়ে সুপার টুয়েলভে ইতোমধ্যেই জায়গা নিশ্চিত করেছে আট দল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে এই আট দলের সম্ভবনা নিয়ে ধারবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। চতুর্থ পর্বে থাকছে সাউথ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে কাটা-ছেঁড়া।


অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জয়ে ফেরার সুযোগ ছিল সাউথ আফ্রিকার। তবে প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তায় পায়নি তারা। যদিও শেষ ম্যাচে দারুণ ভাবে ফিরে আসে তারা। ২-০ তে পিছিয়ে থাকার পর ২-১ ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করে টেম্বা বাভুমার দল। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খেলা এই সিরিজ থেকে সাউথ আফ্রিকার নেয়ার মতো যদি কিছু থাকে, তাহলে তা হবে ডেভিড মিলারের ব্যাটিং। তবে দলের বেশির ভাগ টপ অর্ডারে ব্যাটারের অধারাবাহিকতা বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবেই ভুগাবে প্রোটিয়াদের। তবে তাদের বড় শক্তির জায়গা হবে পেস বোলিং ইউনিট।


বরাবরের মতোই বিশ্বকাপেও সাউথ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস ওপেন করবেন কুইন্টন ডি কক। তার সাম্প্রতিক ফর্ম আপ টু দ্যা মার্ক না। তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিক বিবেচনা করলে পারফরম্যান্স গ্রাফ কেবলই নিম্নমুখী। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও ধারবাহিক ছিলেন তিনি। গত আসরে ১৫ ম্যাচে প্রায় ৩৬ গড়ে করেছিলেন ৫০৮ রান। তবে এরপর থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সাউথ আফ্রিকার জার্সিতে সর্বশেষ দুই ম্যাচ বাদ দিলে গত ১০ ম্যাচে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২২ রান। তবে গত দুই ম্যাচে টানা হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ত??নি। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধেই।


ওপেনিংয়ে ডি ককের সঙ্গী হবেন টেম্বা বাভুমা। সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারেন দলের সবচেয়ে দায়িত্ববান এই সদস্য। দলের নেতৃত্বভারের পাশাপাশি নতুন বলে ভালো শুরুর চ্যালেঞ্জ থাকবে বাভুমার জন্য। তবে শঙ্কার ব্যপার হল, তার সাম্প্রতিক ফর্ম। নিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সময়টা তার জন্য এতটাই কঠিন যে, নিজের দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএটোয়েন্টিতে কোনো দলই পাননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। ভারত সফর তো তার জন্য ছিল রীতিমতো হিমালয় যাত্রার মতো। তারপরও অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখে তার কাঁধে নেতৃত্ব ভার দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই এই বিশ্বকাপ তার জন্য যতটা না রোমাঞ্চের তার চেয়েও বেশি চ্যালেঞ্জের।


promotional_ad

তিন নম্বরে দেখা যাবে রাইলি রুশোকে। বিশ্বকাপকে টার্গেট করেই এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে দীর্ঘদিন পর জাতীয় ফিরিয়েছিল নির্বাচকরা। সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই ব্যাটার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করেছেন তিনি। এবার বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে প্রামণ করতে পারলে লম্বা সময়ের জন্য দলে জায়গা করে নিতে পারেন। তাই এই বিশ্বকাপে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখার পাশাপাশি নিজের জায়গা পাকা করারও সুযোগ থাকছে রুশোর।


আরো পড়ুন

এক বছর ঝুলিয়ে রাখার পর ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দিচ্ছে ওমান

১৫ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

মিডল অর্ডারে প্রোটিয়াদের বড় আস্থার নাম হতে পারেন হেনরিখ ক্লাসেন। ব্যাটিং অর্ডারে তার চার নম্বরে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ভারত সফরেও ধারবাহিক ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। দলে ক্লাসেন এর প্রতিদ্বন্দী হতে পারেন রেজা হেনড্রিক্স। এই দুই জনের যেকোনো একজনের সুযোগ মিলতে পারে একাদশে। পাঁচে খেলতে পারেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তার স্পিনও বেশ কার্যকরী হতে পারে। তাই একাদশে তার খেলার সম্ভাবনা মোটামুটি নিশ্চিতই। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতে পারে।


ছয়ে দেখা যেতে পারে ক্রিস্টান স্টাবসকে। এই ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছেন। এই বিশ্বকাপ দিয়ে দলে স্থায়ী জায়গা করার সুযোগ থাকবে তার জন্য। আর সেখানে তার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এবারের এসএটোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার ক্রিকেটারও তিনি। হাতে প্রচুর স্টোক আছে, বড় শট খেলার সামর্থ্যও আছে সবমিলিয়ে এই বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার জন্য বাড়তি পাওয়া হতে পারেন তিনি।


সাতে খেলবেন ডেভিড মিলার। প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন তিনি। শেষের দিকে হার্ড হিটিংয়ের দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে। এই বিগ হিটার নিজের দিনে যেকোনো ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন। তার সাম্প্রতিক ফর্মও বেশ ভালো। সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে শেষ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তাই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বাভুমার ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন মিলার।


স্কোয়াডে কেশব মহারাজ, তাব্রাইজ শামসির মতো স্পিনার আছে। এই দুইজনের মধ্যে একজন একাদশে সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন শামসি। লেগ স্পিনে যথেষ্ট কার্যকরী তিনি। ইতোমধ্যেই সব ধরনের টি-টোয়েন্ট ক্রিকেটেই সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। স্পিন বিভাগের এই দুইজন ছাড়াও উইকেট বিবেচয়ানয় বল হাতে দেখা যেতে
পারে মার্করামকেও।


অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার সাফল্য নির্ভর করছে তাদের পেস বোলিং ইউনিটের ওপর। দলের সবেচেয়ে বড় শক্তির জায়গাও এটি। যেখানে নেতৃত্ব দেবেন কাগিসো রাবাদা। এই পেসারের সঙ্গে আছেন আরেক গতি তারকা আনরিখ নরকিয়া। এবারের বিশ্বকাপে যে কয়জন বোলার গতি আর বাউন্সে আগুন ঝড়াবেন তাদের অন্যতম একজন নরকিয়া। তৃতীয় পেসার হিসেবে একাদশে সুযোগ পেতে পারেন ওয়েইন পার্নেল। তবে এই তৃতীয় পেসারের জায়গা নিয়ে লড়াই হতে পারে পার্নেল, এনগিদি
এবং মার্কো ইয়ানসেন।


দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, হেনরিখ ক্লাসেন, রেজা হেনড্রিক্স, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিদি, আনরিখ নরকিয়া, ওয়েইন পারনেল, মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, রাইলি রুশো, তাব্রাইজ শামসি এবং ক্রিস্টান স্টাবস।


স্ট্যান্ড বাই: বিজর্ন ফর্টুইন এবং আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball