promotional_ad

বাংলাদেশের মতো জায়গায় ১৫ বছর ধরে খেলা সহজ না: মুশফিক

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||  


২০০৫ সালের ২৬ মে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এইদিন ছোটখাটো গড়নের একজন খেলোয়াড়ের হাতে অভিষেকের টুপি তুলে দেন তৎকালীন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। মিডল অর্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও একটা সময় বাংলাদেশের উইকেটের পেছনকার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেন তিনি। বলছি জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের কথা।


লর্ডসের সেই অভিষেকের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মোটে ২২ রান। শুরুটা ভালো না হলেও যত দিন গিয়েছে ততই দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ। খেলেছেন ৭০টি টেস্ট, ২১৮টি ওয়ানডে এবং ৮৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ঝুলিতে পুরেছেন ১৪টি শতক এবং ৫৯টি অর্ধশতক। যার ভেতর রয়েছে টেস্টে ২১৯ এবং ওয়ানডেতে ১৪৪ রানের ???ুর্দান্ত দুটি ইনিংস।


২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত খেলে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। কিছুদিনের ভেতর মুশফিক অতিক্রম করবেন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার ১৫তম বছর। লম্বা সময় দেশের হয়ে খেলে পার করেছেন অনেক চড়াই-উৎরাই। লম্বা সময়ের এই সফরে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন অনেককেই। তাঁর ভালো খারাপ সব সময়ের সঙ্গী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুশফিক।



promotional_ad

সম্প্রতি জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
 
মুশফিক বলেন, 'প্রতিটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। বাংলাদেশের মতো জায়গায় ১৫ বছর ধরে খেলা সহজ বিষয় নয় খুব একটা। আলহামদুলিল্লাহ। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আমার ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে, আমার কোচ, আমার শিক্ষক, আমার পরিবারের সদস্য, আর বিশেষ করে তুই (তামিম), রিয়াদ ভাই, মাশরাফি ভাই, সাকিবকে। বিশেষ করে তোর (তামিম) আর সাকিবের সাথে খেলা তো সেই অনূর্ধ্ব ১৭-১৯ থেকেই। আমার সব থেকে বড় পরিবার বলতে গেলে মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই আর তোরা দুইজন (তামিম এবং সাকিব)। এটা অনেক বড় সুযোগ এবং সম্মান।'


নিজের খারাপ সময়ে মুশফিক অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তারই সতীর্থ সাকিব, মাশরাফি, তামিম এবং মাহমুদউল্লাহের কাছ থেকে। তাদের ভালো খেলা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজে ফিরেছেন ফর্মে। তাই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ তিনি জাতীয় দলের এই চার পাণ্ডবের ওপর।


মুশফিক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি যেটা আগেও বলেছি, আমার সামনে যখন রিয়াদ ভাই, মাশরাফি ভাই, সাকিবের মতো রোল মডেলরা থাকে তখন আমার জন্য কাজ করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ আমি যখন একটা সময় ভালো খেলতে পারছিলাম না, তখন নিজের ভেতরে সেই তাগিদটা এসেছিল যে, রিয়াদ ভাই, তামিম, সাকিব, মাশরাফি ভাই এতো ভালো করে দলে অবদান রাখছে, তো আমি যদি উন্নতি করতে পারি তাহলে এটা দলের জন্য উপকারি হবে। আমি নিজের থেকেই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি।'


সেই সঙ্গে জাতীয় দলে যতদিন খেলে যাবেন ততদিন জাতীয় দলের জয়ে অবদান রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সেই সঙ্গে অকপটেই স্বীকার করেন তাঁর খারাপ সময়ে সতীর্থ এবং কোচদের সাহায্য করার কথা।



মুশি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে আমার সব সতীর্থরা অসংখ্যবার সাহায্য করেছে। এবং আমার অনেক কোচ রয়েছে তারাও আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছে আমার উত্থান পতনের সময়। আমি এটা চাইবো যে যত বছর সামনে খেলবো ইনশাআল্লাহ যেন বাংলাদেশ দলের আরও কয়েকটা জয়ে অবদান রাখতে পারি।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball