ফিজিওর ভুলে ২০১১ বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মাশরাফির

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপ অনেক কারণেই বাংলাদেশের ভক্তরা ভুলতে পারবে না। সেই বিশ্বকাপেই ৫৮ আর ৭৮এর লজ্জায় পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অংশ হয়ে গেছে। আরেকটি কারণে সেই বিশ্বকাপ ভুলতে পারবে না বাংলাদেশের মানুষ। সেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার।
দল থেকে ছিটকে পরার পর মাশরাফির কান্নার দৃশ্য এখনও হৃদয়ে রক্তক্ষরন ঘটায় ক্রিকেট ভক্তদের। নিজেকে ফিট ও ম্যাচ খেলার উপযোগী প্রমাণের পাশাপাশি নিজের ক্ষতি হলে সেটার দায়ভার নিজের কাঁধে নেয়ার জন্যও তৈরি ছিলেন মাশরাফি। যদিও ফিজিও এক ভুলে বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেস্তে যায় বাংলাদেশের এই অন্যতম সেরা পেসারের।

তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমি কি জন্য বলি আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। যখন ডেভিড ইয়াং রিপোর্টটা পাঠিয়েছিল আমাদের তখনকার ফিজিও মাইকেল হেনরির কাছে দূর্ভাগ্যজনকভাবে ও যখন সেটা লিখে পাঠায় তখন পুরো মেইলটা ওর কাছে আসেনি। মেইলটা যখন আসছে রিড মোর অপশন থাকে সে ঐ অপশনে যায়নি। ও উপরেরটুকু দেখেই ওটা নির্বাচকদের কাছে লিখে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমি ডাক্তারের (ডেভিড ইয়াং) সাথে ফোনে কথা বলি যে তুমিতো বললা অপশনটা আমার হাতে, আমি খেলতে পারবো তবে খেলতে গিয়ে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে পুরো দায়ভার আমার। সেখানে মেইলে এমন কিছু আসেনি কেন?’
ডেভিড ইয়াং ঠিক মেইলই পাঠিয়েছিলেন, তবে সেই ফিজিও অর্ধেক রিপোর্ট দেখেই নির্বাচকদের বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। আর তাতেই ভেস্তে যায় মাশরাফির বিশ্বকাপ খেলার আশা। সেই বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও আক্ষেপ আছে মাশরাফির। তবে সেই ফিজিওকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের।
মাশরাফি বলেন, ‘তখন সে (ইয়াং) বলল নাহ, আমিতো পুরোটাই লিখে পাঠিয়েছি। তখন আমি হেনরিকে বললাম, সে বলল দেখ তুমি মোবাইল চেক করো। পরে আমি যেটা দেখলাম সে (মাইকেল হেনরি) আর নীচের অপশনে যায়নি। এরপর সে আমাকে সরি বলেছে। কিন্তু ওর সাথে তখন আর ঝামেলা করেতো লাভ নাই। মূলত আমি যেটা বললাম আমার ফ্যামিলিকে ব্যাক পাবো দেখেই এসব আমার সাথে ঘটেছে।’