মাছ ধরা মিস করছেন ডমিঙ্গো

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সারাজীবন ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুললেও রাসেল ডমিঙ্গোর অবসর সময় কাটে সাধারণত মাছ ধরে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সেই সুযোগটিও পাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
অন্য সকলের মতো ডমিঙ্গোকেও দিনপাত করতে হচ্ছে ঘরবন্দী অবস্থায়। হুট করে পাওয়া এই অখন্ড অবসর তেমন উপভোগ করতে পারছে না ডমিঙ্গো। মিস করছেন নৌকায় করে মাছ ধরা। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছে তাঁকে।

দশ দিনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়েছেন ডমিঙ্গো। পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। প্রোটিয়া এই কোচ বলেছেন, 'এটি দারুণ হতো যদি আমি একটি ইয়টে (নৌকা) করে মাছ ধরতে জেতে পারতাম। যদিও বিষয়টি এতটা সহজ নয়। একজনকে সরঞ্জাম নিয়ে ইয়টে যেতে হবে। এই মুহূর্তে আমি বিপদ ডেকে আনতে চাইছি না নিজের শখ পূরণ করতে।'
ক্রিকেটই যার ধ্যান জ্ঞান সেই ডমিঙ্গোকেই থাকতে হচ্ছে খেলাটি থেকে দূরে। বিষয়টি যে বেশ হতাশার সেটাই প্রকাশ করলেন তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে, 'ক্রিকেট থেকে অনেক দিন দূরে থাকা বেশ হতাশার। তবে আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে হবে। যেটা কিনা ক্রিকেট খেলার চেয়েও বড় একটি ইস্যু। সুতরাং আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।'
ঘরবন্দী জীবন পত্রিকা পড়ে এবং ঘরের কাজ করে অতিবাহিত করছেন ডমিঙ্গো। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়মিতই রাখছেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন খেলার হাইলাইটস দেখছেন এই প্রোটিয়া।
জাতীয় দলের এই কোচ বলেন, 'আমাদের যে পেশা এতে খুব বেশিদিন ঘরে থাকা সম্ভব হয় না। তবে এখন আমরা সুযোগটি পেয়েছি। যেহেতু আমরা বাইরে যেতে পারছি না তাই এটি পুরোপুরি ঘরবন্দী জীবন। ঘরের কাজ করছি, পরিবারকে সময় দিচ্ছি। পাশাপাশি খেলার হাইলাইটস দেখছি। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলার হাইলাইটস দেখছি। টিভি দেখা এবং পেপার পড়া এখন দৈনিক রুটিন আমার। বিশ্বের খবর পড়া এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছি।'