টেলি-কনফারেন্সে আইসিসির সভায় যোগ দেবে বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
অন্যান্য খেলাধুলার মতো, করোনাভাইরাস মহামারীজনিত কারণে ক্রিকেটের সমস্ত অন-ফিল্ড ক্রিয়াকলাপ বিশ্বব্যাপী স্থগিত হয়ে গেছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহীরা আগামী সপ্তাহে করোনা পরবর্তী ভবিষ্যৎ সূচি (এফটিপি) সম্পর্কে আলোচনা করতে একটি টেলি-সম্মেলনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা রোববার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন।
দিন দুয়েক আগে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল- কোভিড ইফেক্ট: আইসিসির সদস্য বোর্ডগুলোর দেউলিয়ার 'মারাত্মক ঝুঁকি'। রিপোর্ট অনুসারে ভারত এবং ইংল্যান্ড ছাড়া ক্রিকেট বিশ্বের বাকি বোর্ডগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে যদি চলতি অচলাবস্থা খুব দ্রুত না কাটে।
সেখানে আরও বলা হয়েছিল যে, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বর্তমান চুক্তি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনও ব্রডকাস্টার এবং স্পন্সরদের সাথে চুক??তি নবায়ন করতে পারছে না। ফলে বেশ বড় আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে পারে বোর্ডটি।

প্রতিবেদনে এটাও বলা ছিল করোনায় সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি পোষানোর একমাত্র উপায় হল আইসিসির ইভেন্টগুলো। সেগুলো যথাযথভাবে হলে আর্থিক ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবে বোর্ডগুলো।
এরই প্রেক্ষিতে আইসিসি তাঁর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে করোনা পরবর্তী এফটিপি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) উদ্বোধনীর ব্যাপারে, যার ফাইনাল আগামী বছরের জুনে নির্ধারিত রয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়নশিপের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত।'
দুই বছরের চক্রটি ২০১২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে শুরু হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দল ছয়টি টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে - তিনটি ঘরের মাঠে এবং তিনটি অ্যাওয়ে ভেন্যুতে। স্থগিতাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।
প্রথম ওয়ানডে লিগটি মে মাসে শুরু হবে এবং ২০২৩ বিশ্বকাপের খেলার পথ হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু সেটিও পিছিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।