কথা বলতে গাছের ডালে আইসিসির আম্পায়ার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাভাইরাস থামিয়ে দিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক কর্মজীবন। ক্রীড়াঙ্গন হয়ে পড়েছে স্থবির। ফলে ছুটি কাটাচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা। অযাচিত এই অবসরটা বেশ ভালোই কাটাচ্ছেন তাঁরা। খেলা বন্ধ থাকায় বিশ্রামে আম্পায়াররাও।
লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন ভারতের আম্পায়াররা। কেমন যাচ্ছে তাদের দিন? এর জবাব মেলে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার অনিল চৌধুরীকে দেখলে।

এলিট প্যানেলের এই ভারতীয় আম্পায়ার এক সপ্তাহ ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে ১৬ মার্চ উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায় নিজের পৈতৃক বাড়ি ডানগ্রোল গ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু ভারত সরকারের ঘোষিত লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তিনি। ভোগান্তি তাঁর এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। অনিলের বাড়ির এলাকায় মোবাইলের সংযোগও ঠিকমতো পাওয়া যায়না। ফলে কথা বলতে গাছে উঠতে হয় এই ভারতীয় আম্পায়ারকে।
তিনি বলেন, 'কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলে বাড়ির ছাদে, এমনকি গাছেও চড়তে হচ্ছে। আর এমনটা করলেও যে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে সেটিও কিন্তু নয়। আর ইন্টারনেটের তো প্রশ্নই ওঠে না। ১৬ই মার্চ কিছুদিনের জন্য গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর আমি সরকারের নির্দশিকা মেনে চলছি। আমার মা ও স্ত্রী রয়েছেন দিল্লিতে।'
তিনি আরও বলেন, 'ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ছেলেরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। ওদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আমি আইসিসির অনলাইন প্রোগ্রামগুলো দেখতে পাচ্ছি না। দিল্লি থেকে আমার গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। এখানে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এমন অবস্থা দেখে সত্যিই খুব হতাশ।'
অনীল চৌধুরী আইসিসির এলিট প্যানেলে নাম লেখান ২০১৩ সালের আগস্টে। এখন পর্যন্ত ২০ ওয়ানডেতে ফিল্ড এবং ১৭ ওয়ানডেতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ড ও ১২টি টি-টোয়েন্টিতে টিভি আম্পায়ার ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী এই আম্পায়ার।