মনে হচ্ছিলো এটাও ফস্কে যাবেঃ তামিম

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিজের কাছে রাখেননি তামিম ইকবাল। সেই ম্যাচে ১৯৪ রান করা জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রিকে সেই পুরস্কার দিয়ে দেন দেশ সেরা এই ওপেনার। কারণ দুজনকেই যৌথভাবে দেয়া হয়েছিল এই খেতাব।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার কীর্তি গড়লেও সেটির কোনো স্মারক ছিল না তামিমের কাছে। কিন্তু সাড়ে নয় বছর পর আবারও একই কীর্তি গড়ে ম্যাচ সেরার স্মারক নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

তাও আবার একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কিন্তু মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলার পর এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা ফস্কে যেতে পারে তার হাত থাকে। মাঠে থাকা অবস্থায় তামিম নিজেও এমনটা অনুভব করেছেন। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে আলাদা করে তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছিলো এবারও এটা ফস্কে যাবে।'
যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার দিন ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও নিজের কাছে রেখে দেন এই তামিম। এদিন ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কারণ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা জিম্বাবুয়ে শেষ ১০ ওভারে স্বাগতিকদের চরম ভুগিয়েছে।
অষ্টম উইকেটে ডোনাল্ড তিরিপানো এবং মুটোম্বোডজির ৮০ রানের ভয় ছড়ানো জুটি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। মুটোম্বোডজি আউট হলেও ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান তিরিপানো। যদিও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি সফরকারীরা। ৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।