তামিমের রেকর্ড গড়া ইনিংসে বাংলাদেশের বিশাল সংগ্রহ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তামিম ইকবালের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আট উইকেটে ৩২২ রান করেছে বাংলাদেশ। এদিন তামিমের ব্যাটে আসে ১৫৮ রান, যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানটি এর আগেও তামিমের দখলে ছিল। আগের ১৫৪ রান আসে ২০০৯ সালে, প্রতিপক্ষ ছিল এই জিম্বাবুয়েই! এ দিন উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম। তবে দুর্ভাগ্য আরেক ওপেনার লিটন দাসের।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচে ফিরে যান ১৪ বলে নয় রান করে। তামিমের খেলা শট বোলার কার্ল মুম্বার হাতে লেগে স্টাম্পে লাগে। দাগের বাইরে থাকায় রানআউট হতে হয় লিটনকে।
লিটন ফিরলেও ছন্দে খেলতে থাকেন তামিম। দেখেশুনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তামিমের হাফ সেঞ্চুরির আগের ওভারে রানআউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারে ওয়েসলি মাধভেরের বলটি ডট দেন শান্ত। বল চলে যায় ফিল্ডারের হাতে। তামিমকে রান নেয়ার জন্য কোনো ডাক দেননি শান্ত। ৪৯ রানে ব্যাটিং করতে থাকা তামিম অপরপ্রান্ত থেকে দৌড়ে স্ট্রাইকে পৌঁছান। অপ্রস্তুত থাকা শান্ত মাত্র ছয় রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান।

শান্ত ফেরার পর তামিমের সঙ্গে রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম। দেখেশুনে খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ৪৭তম বলে এসেছে মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি।
হাফ সেঞ্চুরির পর বেশীক্ষণ উইকেটে থাকেননি মুশফিক। মাধভেরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুতুমবদজির তালুবন্দি হন তিনি। বিদায় নেয়ার আগে মুশফিক করেন ৫০ বলে ৫৫ রান। তামিম-মুশফিক জুটি দলের রান খাতায় যোগ করেন ৮৭ রান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাঁর ১২তম সেঞ্চুরি। আগের সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২৩ ইনিংস ও ১৯ মাস আগে। ১০৬ বলে আসে তামিমের সেঞ্ছুরি।
৩০ বছর বয়সী ওপেনারের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ১০৬ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। তারপর দেড়শ রানের মাইলফলক পার করেন তামিম।
দেড়শ রানের মাইলফলক পার করার পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১৩৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও তিনটি ছক্কার মার।
শেষদিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১৮ বলে ৩২* রান করেন তিনি। একে একে তাঁকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ (৫), মাশরাফি বিন মুর্তজা (১) ও তাইজুল ইসলাম (০)। ফলে তামিমের বিদায়ের পর শেষদিকে রান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ৩২২/৮ (৫০ ওভার)
(তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, মিঠুন ৩২*; তিরিপানো ২/৫৫)