|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

মাঠের ক্রিকেটে ভালো সময় যাচ্ছে বা বাংলাদেশ দলের। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। এ কারণে জাতীয় দল, 'এ' দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং নারী ক্রিকেট দলের স্পন্সরের দরপত্র আহ্বান করেও সাড়া পাচ্ছে না বিসিবি।

দরপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েও লাভ হয়নি। কোনো প্রতিষ্ঠানই স্পন্সর হতে এগিয়ে আসেনি। এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাধ্য হয়ে দর কষাকষিতে যেতে হচ্ছে বিসিবিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিবি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি তাদের জন্য বিব্রতকর।

বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিব্রতকর। এর আগে আমরা অন্যরকম চিত্র দেখেছি। অবশ্য জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্সই এর মূল কারণ হতে পারে। ২০১৫’র বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দল দারুণ পারফর্ম করতে শুরু করার পর আমরা স্পন্সরদের হুমড়ি খেয়েই পড়তে দেখেছি। এখন মুখ ফিরিয়ে নেয়াকে তাই বাজে পারফরম্যান্সের ফলই ধরতে হবে।'

কদিন আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশবকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। আকবর আলী-মাহমুদুল হাসানদের সাফল্য বিসিবিকে স্পন্সর পেতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী বিসিবির এই কর্মকর্তা। 

তিনি বলেছেন, 'কোনো বিডই যখন জমা পড়েনি, তখন হয়তো অন্য ব্যবস্থায় আমাদের যেতে হবে। কিছু প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসতে হবে। আশা করি যুব দলের সাফল্যে এবার টাইটেল স্পন্সর হওয়ার আগ্রহ দেখাবে অনেক প্রতিষ্ঠান।'

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি নতুন চুক্তির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। প্রাথমিক পর্যায়ে দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ২৬ জানুয়ারি। পরবর্তীতে সময় বাড়ালেও কোনো প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায়নি।

এর আগে ২০১৮ সালের ৭ই আগস্ট দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর রবির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল বিসিবি। এরপর ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে ১৭ মাসের চুক্তি করেছিল ইউনিলিভার।

এজন্য তাদের বিসিবিকে দিতে হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। এবার ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩৮ মাসের চুক্তির জন্য ইউনিলিভারের দেয়া অর্থের ৩ গুন বেশি অর্থ প্রত্যাশা করেছিল বিসিবি। সেজন্য এবার দরপত্রের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৮৫ কোটি টাকা।

কেউ আগ্রহ না দেখানোর কারণে তাই হতাশ বিসিবি। যদিও দ্রুতই স্পন্সর পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজে বাংলাদেশের স্পন্সর হয়েছে স্যাটেলাইট টিভি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আকাশ।