শেষ বিকেলে পূর্ণতা নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ২২৮ রান। এদিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
শুরুর দিকে আগ্রাসি ক্রিকেট খেলে টস হেরে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশ। উইকেটের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে পেসাররা। তিন স্লিপ ও এক গালি ফিল্ডার নিয়ে বোলিং করতে থাকেন আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন।
ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারে ব্যাট থেকে কোনও রান পায়নি জিম্বাবুয়ে ওপেনাররা। পঞ্চম ওভারে অবশ্য একটি ওয়াইড দেন এবাদত।

সপ্তম ওভারে ব্যাট থেকে প্রথম রান পায় জিম্বাবুয়ে। যদিও অষ্টম ওভারে রাহির বলে বিদায় নেন দলটির ওপেনার কেভিন কাসুজা। গালি অঞ্চলে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি করেন দুই রান।
উইকেট পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টায় থাকেন ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। প্রথম সেশনে আর সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা।
মাসভাউরে ও আরভিনের ১১১ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ১৫২ বল খেলা মাসভাউরের ক্যাচ নিজেই লুফে নেন তিনি। ফেরার আগে এই ওপেনার করেন ৬৪ রান।
এরপর অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকেও সুবিধা করতে দেননি নাঈম। ব্যক্তিগত ১০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন টেলর। টেলর ফেরার পর আরভিনকে সঙ্গ দিতে চেয়েছেন সিকান্দার রাজা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ১৮ রান করা রাজাকেও বিদায় করেন নাঈম।
তারপর টিমিসেন মারুমাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন রাহি। একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। ২১৩ বলে এসেছে তাঁর এই সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি করে অবশ্য বেশিক্ষন টিকতে পারেননি আরভিন। প্রথম দিনের একদম শেষদিকে ১০৭ রানে নাঈমের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এটা নাঈমের চতুর্থ শিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসঃ ২২৮/৬ (৯০ ওভার)
(আরভিন ১০৭, মাসভাউরে ৬৪; নাঈম ৪/৬৮)