সুপার ওভারে সিলেটকে হারালেন সৌম্যরা
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট থান্ডারকে সুপার ওভারে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। আগে ব্যাটিং করে সিলেট থান্ডার বিপক্ষে নয় উইকেটে ১৪০ রান করেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। জবাবে ২০ ওভারে ১৪০ রান করে সিলেটও। ফলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করে মুজিব উর রহমানের ওভারে ৭ রান করে সিলেটের দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার এবং শারফান রাদারফোর্ড। জবাবে অধিনায়ক সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করেন ডেভিড ভিসে এবং উপুল থারাঙ্গা।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেছেন সিলেটের ওপেনার জনসন চার্লস (০)। তাঁকে কট এন্ড বোল্ড করে ফেরান সানজামুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান রনি তালুকদারও (২)। তাঁকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন মুজিব উর রহমান।
দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর ইনিংস মেরামত করতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও শারফান রাদারফোর্ড। দুজনকেই বিদায় করেন আল আমিন হোসেন। মিঠুন ১৩ ও রাদারফোর্ড ১৫ রান করে ফেরেন।

ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়ায় ওপেন করতে না নেমে পাঁচ নম্বরে নামেন আন্দ্রে ফ্লেচার। সিলেটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কও সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র এক রান করা ফ্লেচারকে বিদায় করেন ডেভিড ভিসে।
মাত্র ৩৩ রানে নিজেদের পঞ্চম উইকেট হারায় সিলেট। এরপর ৭০ রানের জুটি গড়েন সোহাগ গাজী এবং নাজমুল হোসেন মিলন। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকেন সোহাগ গাজী।
মাত্র ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ফেরার আগে ৩১ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৫২ রান। মুজিব উর রহমানের একই ওভারে ফিরে যান গাজী, মিলন ও নাঈম হাসান।
শেষদিকে নাভিন উল হকের ৭ বলে ১৫ ও মনির হোসেনের ১০ বলে ১৬ রানের সুবাদে জয়ের পথে আরও এগিয়ে যায় সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলের রান সমান হওয়ায় সুপার ওভারের দিকে গড়ায় ম্যাচটি। এটাই বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় ম্যাচ, যা সুপার ওভারে গড়িয়েছে।
এর আগে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র চার ওভারে ৪২ রান তোলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার ভ্যান জিল এবং উপুল থারাঙ্গা। পঞ্চম ওভারে এবাদত হোসেনের প্রথম বলে ফিরে যান ভ্যান জিল (১০)।
প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। ক্যাচটি ধরে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন ফ্লেচার। বাকি সময়টা সিলেটের নেতৃত্ব সামলান মোহাম্মদ মিঠুন।
এরপর তিনে নামা সৌম্য সরকারও সুবিধা করতে পারেননি। কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে মাত্র পাঁচ রানে বিদায় করেন সোহাগ গাজী। এরপর দুর্দান্ত খেলতে থাকা থারাঙ্গাকেও ফেরান সোহাগ গাজী।
লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফেরার আগে লঙ্কান এই ক্রিকেটার করেন ৩১ বলে ৪৫ রান। বিপিএলে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। এই ম্যাচেও শারফান রাদারফোর্ডের শিকার হয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়েন তিনি। তাঁর ব্যাটেও আসে পাঁচ রান।
৮৭ রানে চার উইকেট পড়লে বিপর্যয় সামাল দিতে চেষ্টা চালান সাব্বির রহমান ও ডেভিড ভিসে। কিন্তু দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। ভিসে (১৫) এবাদতের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে এবং সাব্বির (১৭) রাদারফোর্ডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান।
শেষদিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অংকনের ১৪ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে এই সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। সিলেটের হয়ে এবাদত ও রাদারফোর্ড তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন সোহাগ গাজী।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ ১৪০/৯ (২০ ওভার)
(থারাঙ্গা ৪৫, অংকন ১৯*; রাদারফোর্ড ৩/১৯, এবাদত ৩/ ৩৩)
সিলেট থান্ডারঃ ১৪০/১০ (২০ ওভার)
(গাজী ৫২, মনির ১৬; মুজিব ৪/১২)