রানার বোলিং তোপে চট্টগ্রামের টানা চতুর্থ জয়

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১৪তম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ১৬ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে চ্যালেঞ্জার্সের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২২২ রান তোলে দাশুন শানাকার কুমিল্লা। ফলে জয়ের বেশে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অবশ্য লড়াই চালিয়ে গেছেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান আবু হায়দার রনি। মাত্র ১০ বলে ২টি ছক্কা এবং ৩টি চারের সাহায্যে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যদিও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন এই ডানহাতি।
চট্টগ্রামের হয়ে দুর্দান্ত বল করেছেন মেহেদি হাসান রানা। ২২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার ৪ ওভার বোলিং করে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, কেসরিক উইলিয়ামস এবং মুক্তার আলী।
এদিন নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে দলের বাইরে থাকায় চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেন ইমরুল কায়েস। গত আসরের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক অবশ্য হতাশ করেননি সমর্থকদের। ব্যাট হাতেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বলে এক ছক্কা এবং ৯ চারের সাহায্যে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইমরুল। একই সঙ্গে দলকে বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেন তিনি। অবশ্য শুধু ইমরুলই নন, মারমুখী ব্যাটিং করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়ালটনও। ৬ ছক্কা এবং ৫ চারের সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
ওয়ালটন এবং ইমরুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই মূলত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। যা বঙ্গবন্ধু বিপিএলে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শুধু তাই নয়, বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহও এটি।
রেকর্ড লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। এরপর ডেভিড মালান এবং ইয়াসির আলী চৌধুরীর ৫৮ রানের জুটিতে বিপদ কিছুটা সামাল দেয় তারা। কিন্তু ৯০ রানের মাথায় ইয়াসিরকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার রুবেল হোসেন।
পরবর্তীতে অধিনায়ক দাশুন শানাকার সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন কুমিল্লার ইংলিশ রিক্রুট মালান। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে একটা সময় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কুমিল্লা। কিন্তু ৩৮ বলে ৮৪ রান করা মালানকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভেঙ্গে দেন পেসার মেহেদি হাসান রানা।
অধিনায়ক শানাকা এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও টিকতে পারেননি বেশীক্ষণ। ১৮৭ রানের মাথায় তাদের দুইজনকে ফিরিয়ে দেন মুক্তার আলী এবং কেসরিক উইলিয়ামস।
এরপরই অবশ্য ব্যাট হাতে জয়ের শেষ প্রচেষ্টা চালান আবু হায়দার রনি। ডানহাতি পেসার সুমন খানকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছেন রনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ ২৩৮/৩ (২০ ওভার) (ইমরুল ৬২, ওয়ালটন ৭১*; সৌম্য ২/৪৪, মুজিব ১/৩১)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ ২২২/৭ (২০ ওভার) (মালান ৮৪, শানাকা ৩৭; রানা ৪/২৮, রুবেল ১/৩০)