সব সময় প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাই নাঃ মুশফিক

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রতি আসরের মতো বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের তুলনায় কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন দেশি ক্রিকেটাররা। যদিও তাড়াহড়ো করে বিপিএলের বিশেষ এই আসর আয়োজন করায় এবারের পারিশ্রমিকের মানদণ্ড নিয়ে অভিযোগ করছেন না ক্রিকেটাররা। তবে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কিছুটা আক্ষেপ করেই বলে ফেললেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাই না।‘
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের ৬টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। যেখানে মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই চারজন ক্রিকেটারকে রাখা হয় ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে। তাঁদের পারিশ্রমিক ৭৫ লাখ টাকা ধরা হয়। অথচ বিদেশি ‘এ’ প্লাস ক্রিকেটারদের মূল্য ধরা হয় ৮৫ লাখ টাকা।

গত ২১ অক্টোবর ক্রিকেটারদের করা আন্দোলনের ১৩ দফার একটি ছিল বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানো। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর আগামী আসরগুলো থেকে দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবা হবে, এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছে বিসিবি থেকে।
মুশফিক বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাই না। এবার তো অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছে। ভাগ্যক্রমে এবার খেলাটা হচ্ছে এটাই অনেক। আমরা নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তারা আশ্বস্ত করেছেন। পরবর্তী থেকে বেতন বা ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাব বলে আশা করি। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায়, যারা শুধু টি টুয়েন্টি খেলে তাদের অনেকের থেকে আমরা কম পাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য অসম্মানের। বিশ্বের সব লিগে কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটাররা বেশি পারিশ্রমিক পান।‘
‘আমাদের নিজেদের খেলার মানটাও বাড়াতে হবে। আমি আশা করব আমরাও যেন এবার ভাল খেলা দেখাতে পারি, যাতে করে আমাদের বেতনটা বৃদ্ধি পায়। আর পারিশ্রমিক বেশি হলেই যে আপনি দল পাবেন সেটা কিন্তু না। এ বছর দেখেন অনেক ভালো ভালো ক্রিকেটারও দল পাননি। আমার মনে হয় সে দিকটা বিবেচনা করেই আমাদের এগুলো ঠিক করা উচিত। এ বছরের বিপিএলটা সবার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং।‘ যোগ করেন দেশের তারকা এই ক্রিকেটার।
১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিনের প্রথম ম্যাচে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন খেলবে রাজশাহীর বিপক্ষে এবং খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।