দেশি কোচ দায়িত্বে থাকার সুবিধা জানালেন বিজয়

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিবিপিএল) প্রতি দলে কোচের দায়িত্বে থাকবেন বিদেশিরা, এমন সিদ্ধান্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের শুরুতে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও শেষ পর্যন্ত একমাত্র দেশি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁকে। যা ঢাকা প্লাটুনের দেশি ক্রিকেটারদের অনেক সহায়তা করবে বলে মনে করছেন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
মাতৃভাষায় কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করা সবার জন্য যেমন সহজ, তেমনি কার্যকরীও। দেশি কোচের অধীনে কাজ করলে ক্রিকেটাররাও এই সুবিধা নিতে পারে। নিজেদের দুর্বলতা, শক্তির জায়গা নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, সঠিকভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন কোচদের কাছে।

বিপিএলে দেশি-বিদেশি দুই ধরণের কোচের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিজয় বলেন, ‘আসলে মনের কথা প্রকাশ করার জন্য আমরা বাংলায় যেভাবে কথা বলি, দেশি কোচ হলে এই জিনিসটা সহজেই করা যায়। কারণ প্রতিটা প্লেয়ার কিন্তু জড়তাহীন ইংলিশ বলতে পারে না। দেশি কোচ থাকলে বাক্যবিনিময় করার সুন্দর একটা অবস্থান থাকে। আমরা কথা বলতে পারি আমাদের শক্তির জায়গা, দুর্বলতার জায়গা, কেমন অবস্থায় আছি আমরা এসব নিয়ে।‘
কোচ হিসেবে সালাহউদ্দিনকে এগিয়ে রাখছেন বিজয়। ক্রিকেটারদের বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এই কোচ। ক্রিকেটারদের ভেতরের প্রতিভাগুলো বের করে আনার চেষ্টায় থাকেন দেশের স্বনামধন্য এই কোচ।
সালাহউদ্দিনের প্রশংসা করে বিজয় বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সালাহউদ্দিন স্যার এই দিক থেকে সেরা। তিনি প্রতি ক্রিকেটারের কাছে যান এবং মনের ভেতরের খবরটা নেয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য সালাহউদ্দিন স্যার সবার থেকে এগিয়ে এবং প্রত্যেকে ওনার সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পায়। উনি যেকোনো সময় যেকোনো ক্রিকেটারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকেন। আমার কাছে মনে হয়, এমন কোচের অধীনে অনেক কিছু শেখার আছে এবং দলের মধ্যে বোঝাপড়াটাও ভালো থাকে।‘