ওয়ানডের কোটাও পূরণ করতে পারল না বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রথম দিবা রাত্রির টেস্ট খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ এবং ভারত। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু প্রথম দিন ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
উমেশ যাদব-ইশান্ত শর্মাদের তোপে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে মমিনুলবাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিকের ব্যাট থেকে। এছাড়া লিটন দাস করেছেন ২৪ রান। ভারতের হয়ে ইশান্ত একাই নেন ৫ উইকেট। এছাড়া উমেশ ৩টি এবং মোহাম্মদ শামির শিকার ৩ উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে গোলাপি বলের বিপক্ষে শুরুটা দেখে শুনেই করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক এবং ইমরুল কায়েস। প্রথম ছয় ওভার অনেকটা সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন দুজন। কিন্তু ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে ইশান্ত শর্মার প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে বাচলেও তৃতীয় বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরে বিদায় নেন ইমরুল।
৪ রান করে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। খানিক পর উমেশ যাদবের বলে স্লিপে রহিত শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে ৭ বলে ০ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক মমিনুল হক। এর দুই বল পরে বোল্ড হন মোহাম্মদ মিঠুন। ইনিংসের ১২তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম।

০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। চার ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও একাই লড়াই চালিয়ে যান সাদমান। কিন্তু তাকেও ব্যক্তিগত ২৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন উমেশ যাদব। এরপর ৬ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফেরান ইশান্ত শর্মা।
দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যেখানে গোলাপি বলের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারলেও উল্টো চিত্র দেখা যায় লিটন দাসের ক্ষেত্রে। ইশান্ত শর্মা-উমেশ যাদবদের বিপক্ষে ইতিবাচক মানসিকতায় আক্রমণাত্মক মনোভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
মোহাম্মদ শামির বাউন্সারের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। শামির ছোড়া বাউন্সার মাথায় আঘাত হানে লিটনের। এরপর ফিজিওর চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও কয়েক ওভার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
লাঞ্চ বিরতির পর ব্যাটিং করতে নেমে ইশান্ত শর্মার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা। ১৯ রান করা নাঈম হাসানকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন ইশান্ত। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ১০৬ রানে বিদায় নেন আল আমিন। তার উইকেটটি নেন শামি।
দলের ১২ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ৯২ রান, বাকি ১৪ রান এসেছে এক্সট্রা। লিটন দাস মাথায় চোট পাওয়ায় মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন মাত্র ৮ রান। মিরাজের উইকেটটিও নেন ইশান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ১০৬ অল আউট (৩০.৩ ওভার)
(সাদমান ইসলাম ২৯*, লিটন ২৪ রিটায়ার্ড হার্ট) (ইশান্ত ৫/২২)