লাল-গোলাপি বলের পার্থক্য জানালেন মিরাজ

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা স্বাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলবে দুই দল। সঙ্গে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতাও রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। কিন্তু গোলাপি বলের আচরণ সম্পর্কে ধারণা নেই কারোরই। দুই দিন অনুশীলন করে লাল এবং গোলাপি বলের পার্থক্য কিছুটা ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
কলকাতা টেস্টের জন্য ৭২টি এসজি গোলাপি বলের ব্যবস্থা করছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। বাংলাদেশ-ভারতের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট অভিষেক হচ্ছে এসজি গোলাপি বলেরও। কিন্তু মিরাজ, ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলামরা অনুশীলন করছেন কোকাবুরা গোলাপি বল দিয়ে।

যদিও এখনও গোলাপি বলের আচরণ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা হয়নি মিরাজের। লাল বলের সঙ্গে পার্থক্য কিছুটা বুঝতে পেরেছেন তিনি, 'আমার কাছে মনে হয় বলটা ড্রিফট করে, নড়াচড়া বেশি করে। কিন্তু বলের আচরণ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে পরিষ্কার হব যখন কোচদের সঙ্গে কথা বলব, ওখানে গিয়ে অনুশীলন করব।'
নতুন অবস্থায় লাল বলের তুলনায় গোলাপি বল একটু বেশি সুইং পায়। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি। তবে এই বলের উজ্জ্বলতা তুলনামূলক দ্রুত হারিয়ে যায়, এমনটা জানিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। পরবর্তীতে ব্যাটিং কিছুটা সহজ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার মিরপুরের একাডেমী মাঠে অনুশীলন করেছেন মিরাজ। বোলিং, ব্যাটিং দুই বিভাগেই নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক অনুশীলনটাই করেছেন এই অলরাউন্ডার। গোলাপি বল নিয়ে আলাদা কোনো কাজ করেননি মিরাজ। শুধু মানিয়ে নেয়ার কাজ করেছেন তিনি। জানিয়েছে, ভারতে গিয়ে স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেটরির সঙ্গে বাড়তি কাজগুলো করবেন।
তাঁর ভাষায়, 'এখন পর্যন্ত আলাদা কোনো কাজ করছি না। আমি যতটুকু শুধুমাত্র মানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। ভারতে কোচ আছে ওদের সঙ্গে কথা বলব, ওদের সঙ্গে বসে হয়তো আলাপ করব কীভাবে কি করলে ভালো হয়।'
৮ নভেম্বর ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মিরাজরা। ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভারত-বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। এরপর ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হবে দিবা-রাত্রির টেস্ট।