দিবা-রাত্রি টেস্টের প্রস্তাব দিয়ে বিপাকে বিসিসিআই

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয় ভারত। ক্রিকেটার-কোচদের সঙ্গে অনেক আলাপ-আলোচনার পর রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান, দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে প্রস্তুত তাঁরা। কিন্তু দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে বাড়তি চিন্তায় পড়তে হচ্ছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে (বিসিসিআই)। মানসম্মত গোলাপি বলের ব্যবস্থা করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিসিসিআই।
ভারতের কন্ডিশনে গোলাপি বল খুব বেশি টেকসই নয়, সেটা আগেই প্রমাণিত। ২০১৬ সালে দুলিপ ট্রফির ফাইনালটি দিবা-রাত্রির অনুষ্ঠিত হয়। গোলাপি বল দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করে কন্ডিশনের পরীক্ষা করে ভারত। কিন্তু সেই পরীক্ষা খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না।

কারণ মাত্র ২০ ওভার খেলার পরই গোলাপি বল মান হারাতে শুরু করে। নরম হতে থাকে এবং রঙ হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির প্রথম শ্রেণির ম্যাচ বন্ধ করতে বাধ্য হয় ভারত। যে কারণে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দিবা-রাত্রির টেস্টের গোলাপি বল নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেছে বিসিসিআই।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতের মাঠ ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মাঠের মতো মসৃণ নয়। খুবই অমসৃণ হওয়ার কারণে বল ২০ থেকে ৩০ ওভারের মধ্যে রঙ এবং আকার হারায়।’
ভারতীয় কন্ডিশনে মানসম্মত গোলাপি বল ব্যবস্থা করা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে বিসিসিআইকে। শুধু তাই নয়, ম্যাচের মাঝে বল পরিবর্তনের জন্য কিছু ব্যবহৃত বলও মজুদ রাখতে হবে ভারতীয় বোর্ডকে। যা খুবই কঠিন একটি কাজ। কারণ গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় না বললেই চলে।
‘দুই দলের অনুশীলন এবং ম্যাচের জন্য কমপক্ষে ২৪টি নতুন বল প্রয়োজন। এরপর বল প্রতিস্থাপনের জন্য আপনার কাছে কিছু ব্যবহৃত বল থাকতে হবে। এটা সবচেয়ে কঠিন কাজ।’ বলেন বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা।