বড় বাঁচা বাঁচলেন তামিম

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সাকিব আল হাসানের মতো দুর্নীতি বিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছিল তামিম ইকবালের ওপরও। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) সাকিবকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারলেও পার পেয়ে গেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম।
২০১৭ সালের নভেম্বরে দুর্নীতির প্রস্তাব তামিমকে দিয়েছিলেন দিপক আগারওয়াল। তাৎক্ষণিক বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে তা জানিয়ে দেন তামিম। পরে আকসুকে সেই প্রমাণ দেখিয়ে শাস্তির হাত থেকে বাঁচেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

সাকিবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পেছনে বিস্তারিত ব্যাখায় আইসিসি জানায়, সাকিবের পরিচিত যে ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নেয়া হয়; সেই ব্যক্তি থেকে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের নম্বর নেন আগারওয়াল। তখনই তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তিনি।
হোয়াটসঅ্যাপে একই বার্তা সাকিব এবং তামিম দুজনকেই পাঠিয়েছিলেন আগারওয়াল। সাকিব গুরুত্ব না দিলেও বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা মেজর (অব) মোর্শেদকে তখনই জানান তামিম। বিসিবির একটি সূত্র তামিমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আকসুর তদন্তে থাকা দল তামিমকেও তলব করেছিল। ঢাকার একটি হোটেলে তামিমের সঙ্গে সাক্ষাৎও করে তারা। সে সময় আগারওয়ালের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তামিম স্বীকার করে নেন প্রস্তাবের কথা। সেটি বিসিবিকে জানানোর কথাও বলেন আকসুর কর্মকর্তাদের।
বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা মেজর (অব) মোর্শেদের কাছ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তামিমকে ‘ক্লিয়ারড’ বলে ছেড়ে দেন আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্তারা।