এনসিএলের মাঝেই ফিটনেস পরীক্ষা দেবেন আশরাফুল-রাজ্জাকরা

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) আগে বিপ টেস্টের পাস মার্ক শুরুতে ১১ বেধে দিলেও ১০ পেয়ে পার পেয়ে গেছেন সিনিয়র ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, তুষার ইমরানরা। তবে এনসিএল চলাকালীন তাঁদেরকে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে বেঞ্চ মার্ক ১১ তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
এই তিন সিনিয়র ক্রিকেটারই বিপ টেস্টের প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। যে কারণে ৫ দিন বিরতি দিয়ে নিজেদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা দিয়ে টেনেটুনে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা।
গেলবারের এনসিএলে পাস মার্ক ৯ থাকলেও এবার তা করা হয় ১১। আর এনসিএল খেলতে হলে এই পরীক্ষায় পাস করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। যদিও জাতীয় দলের বাইরে থাকা অনেক ক্রিকেটারই এই পয়েন্ট তুলতে পারেননি।

এই কারণে বয়স বিবেচনা করে পাস করার বেঞ্চ মার্ক কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বয়সের কথা চিন্তা করে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলকে ১০ পয়েন্ট দিয়ে পাস করানো হয়।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার অবশ্য জানালেন, এবারই শেষবারের মতো বিবেচনা করা হয়েছে অনেক ক্রিকেটারকে। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার হওয়ায় শেষ সুযোগ পেয়েছেন তারা। পরবর্তী আসর থেকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়েছেন নির্বাচক বাশার।
'বিপ টেস্টে আজ তারা ১১ পয়েন্ট তুলতে পারেননি। প্রধান নির্বাচক নান্নু ভাই এবং আমি বিষয়টি বিবেচনা করেছি। তুষার ইমরান, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আব্দুর রাজ্জাককে এনসিএলে খেলার সুযোগ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে ভবিষ্যতে এমন ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে বেঞ্চ মার্ক তুলতে হবে এনসিএলের মাঝপথে। তাদেরকে ফিটনেসে উন্নতি করতে হবে। এনসিএল চলাকালীন তাদের এটা করতে হবে।'
এর আগে বিপ টেস্ট শেষে রবিবার এইচপি ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা একটু ভালো, মানে আশরাফুলদের মতো যারা আছে তাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। তবে বেঞ্চ মার্ক ছুঁতে পারেনি তারা।
তাদের জন্য জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্যানেলে যারা আছেন তারা হয়তো চিন্তা করবেন। তাদের খেলার বয়স নিয়ে চিন্তা করে তাদের ব্যাপারে কি করা যায় সেটি ভাববেন। এই বেঞ্চ মার্কের ব্যাপারটি জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল বলতে পারবে।'