ডমিঙ্গোর মাথায় মিশ্র ভাবনা

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে রাসেল ডমিঙ্গো ইঙ্গিত দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে চারজন পেসার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজানোর। ইঙ্গিত দিলেও উইকেট থেকে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
সিরিজের প্রথম তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়, যেখানে উইকেট ছিল ফ্ল্যাট। চট্টগ্রাম পর্বে সিরিজের শেষ তিন ম্যাচের চিত্র ছিল উল্টো। স্পিনাররা উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। তাই উইকেট থেকে স্পিনারদের সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আশা করছেন ডমিঙ্গো। উইকেট থেকে স্পিনাররা সহায়তা পেলে দুই দলই এর সুবিধা পেয়ে থাকে বলে মনে করছেন প্রোটিয়া এই কোচ।

ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেট থেকে বেশি টার্ন পাওয়া যায় না। কিন্তু ঢাকার উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে। যেটা থেকে আফগানিস্তান যেমন সুবিধা নেয়, তেমনই আমরাও পাই। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার আছে। আমরা আশা করছি ঢাকার উইকেটে চট্টগ্রামের তুলনায় বেশি স্পিন থাকবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে ৪ জন পেসার খেলানোর পরিকল্পনা করছেন ডমিঙ্গো। তবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন উইকেটের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন প্রোটিয়া এই কোচ।
ডমিঙ্গো আরও বলেন, ‘আমি মনে করি উইকেট দেখে স্কোয়াডে আরও পেসার যোগ করা হবে। যদি উইকেটে ঘাস থাকে, তাহলে এই জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। কাল কন্ডিশন দেখতে হবে এবং এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। উইকেটে ঘাস থাকলে ৪ জন ফাস্ট বোলার খেলাতে পারব আমরা। ৪ জন পেসার খেললে ঘোষণা দেয়া হবে।’
মঙ্গলবারের ফাইনালে উইকেট যেমনই হোক, প্রস্তুত আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান জানিয়েছেন, যেকোনো উইকেটে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত তার দল।
রশিদ বলেন, ‘যেকোনো উইকেটে খেলতে প্রস্তত আমরা, উইকেট ফ্ল্যাট হোক বা স্পিন সহায়ক। ঢাকায় আমরা ফ্ল্যাট উইকেট পেয়েছিলাম। চট্টগ্রামে আমরা খেলেছি স্পিনিং উইকেটে। আমরা প্রস্তুত। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে চাই, উইকেট যেমনই হোক না কেন। দলের সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত আছে।’