আবারও আফগান পরীক্ষা বাংলাদেশের

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি। এরই মধ্যে রশিদ খান-আসগর আফগানদের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই দলই আজ (রবিবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানও নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে চলতি সিরিজে আফগানরাই এগিয়ে। এমনকি বাংলাদেশের বিপক্ষে মুখোমুখি সাক্ষাতেও এগিয়ে রশিদের দল।
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৮ সালে দেরাদুনে ৩ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল আফগানিস্তান।
ফলে এই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই তাই মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল। আফগানদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুঁজি।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে হারের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ৬০ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা।
সেখান থেকে আফিফ হোসেন এবং মোসাদ্দেক হোসেন বাংলাদেশকে টেনে তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এই ইনিংসের সুবাদেই মান রক্ষা হয় বাংলাদেশের।
আফগানদের হারিয়ে ফাইনালের পথ অনেকটাই সুগম করতে চাইবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ নিয়ে পূর্ণ ধারণা আছে স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তাঁর দলের খেলোয়াড়রা জানেন আফগানদের বিপক্ষে কি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। তাই সেই ধারণা নিয়েই শীষ্যদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগ দিতে বলেছেন এই কোচ।
ম্যাকেঞ্জির ভাষ্য মতে, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকবো, আমি জানি তারা কী করতে পারে। আমি জানি কী ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থতির সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আপনি যখন নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা তখন খেলা যায় না। আমি কখনই চাই না আমার দলের ব্যাটসম্যানরা এটা ভাবুক যে, এটাই তার শেষ সুযোগ। আমাদের মাঠে নামতে হবে, ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশের জন্য।’
এই ম্যাচের আগে পুরনো পিঠের চোটে পড়েছেন বাংলাদেশের অনভিষিক্ত পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু। তাঁর বদলি হিসেবে ইতোমধ্যে আবু হায়দার রনিকে দলে নেয়া হয়েছে। যদিও এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):
সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ (সম্ভাব্য):
হজরতুল্লাহ জাজাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাঈব, নাজিব তারাকাই, রহমতুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান (অধিনায়ক), মুজিব উর রহমান, করিম জানাত, ফরিদ মালিক।