ফিরেই নায়ক আফিফ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বয়সভিত্তিক দল থেকেই আলোচনার মধ্যে ছিলেন আফিফ হোসেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর টি-টোয়েন্টি অভিষেক।
সেই ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফিরতে হয়েছিল আফিফকে। এরপর বল হাতেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এমন পারফররম্যান্স মনে ধরেনি নির্বাচকদের।
এরপর প্রায় দেড় বছর দলের বাইরে ছিলেন তিনি। খেলেছেন বিসিবির হাইপারফরম্যান্স দল, 'এ' দলের হয়ে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়েছেন নতুন করে। ধারবাহিক পারফরম্যান্স তাঁকে আবারও জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছে। এবার সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন আফিফ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন আফিফ। আর তাতেই জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৩ উইকেটে।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মেরেছেন আফিফ। পরের ওভারে টানা দুই বলে মেরেছেন দুই চার। একই ওভারের শেষ ওভারে বিশাল ছক্কায় নিজের সামর্থ্য জানান দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের দিকে এনে দেন মোসাদ্দেক। এরপর বাকি দায়িত্বটা নিয়েছেন আফিফ নিজেই। শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ৫২ রান।
তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল আটটি চার ও এক ছক্কায়। আফিফ জানিয়েছেন, নিজের মতো খেলেই দলকে বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছেন। আফিফের ভাষ্য, 'আমার চিন্তা ছিল আমি আমার মতো খেলবো, পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার চেষ্টা করবো।'
এমন পারফরম্যান্সের পর বলাই যায় এবার জাতীয় দলে থিতু হতেই এসেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের স্কোরিং শটেই বাউন্ডারি পেয়েছেন আফিফ। এই শটই হয়তো রানের খাতার সঙ্গে ভাগ্য খুলে দিয়েছে ১৯ পেরুনো এই তরুণের।