বিপিএল নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করলেন জালাল ইউনুস

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সঠিক সময়ে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর? এমন প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। তবে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জালাল ইউনুস আশ্বস্ত করেছেন, সঠিক সময়ই অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের পরবর্তী আসর।
আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে বিপিএল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সিংহভাগ কাজ বাকি পড়ে আছে। মূলত এই কারণেই সূচি অনুযায়ী বিপিএল মাঠে গোড়ানো নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রথম কাজ ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা। এরপর নতুন চার বছর সাইকেলের নীতিমালা অনুযায়ী টুর্নামেন্টটি চালানো নিশ্চিত করা। চিটাগংভিত্তিক ফ্র্যাঞ্জাইজির নতুন মালিকও খুঁজে নিতে হবে তাদের।
সবকিছুই সঠিক নিয়মে চলছে বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো সব অনুমান। পরবর্তী বিপিএলের সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা অনুমান নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। বোর্ড এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আশাবাদী পরিকল্পনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে।’
‘আমরা এখনো চিটাগংয়ের ফ্র্যাঞ্জাইজির মালিক চূড়ান্ত করতে পারিনি। তিনটি পক্ষ আগ্রহ দেখিয়েছে এবং বোর্ড এ বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা শিগগিরই টুর্নামেন্টের নীতিমালা এবং নতুন চুক্তি ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর সঙ্গে শেয়ার করব। বোর্ডের প্রধান নির্বাচক এই মুহূর্তে নেই, তিনি এলেই সব কাজ শুরু হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবেই আশাবাদী পরিকল্পনা মতোই সবকিছু হবে।’ যোগ করেন বিসিবির এই পরিচালক।
বিপিএলের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার পেছনে আরেকটি বাধা ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দ্বন্দ্ব। নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন করে শুরু করার পক্ষে নয় ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলো।
ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে আলাদাভাবে আলোচনা করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের নতুন নীতিমালা তৈরি করতে চাইছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।
বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্জাইজির দাবি ছিল, একজন ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির দেশিয় ক্রিকেটার এবং দুইজন বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তির নিয়ম থাকা উচিত। তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল তৈরি করা। যেগুলো নিয়ে এখনো কাজ করছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।