ফিল্ডিংয়ে সাব্বির-তামিমদের সঠিক ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বর্তমান বিশ্বের সব দলই ফিল্ডিং নিয়ে অনেক সতর্ক। মাঠের মধ্যে ১০-১৫ রান ফিল্ডিং করে বাঁচাতে পারলে তা ম্যাচের মোড় পাল্টে দিতে পারে। যে জন্য সব দেশেই এখন রয়েছে অভিজ্ঞ ফিল্ডিং কোচ। বাংলাদেশ দলও এই একই পথে হাঁটছে। মিরাজ-সাকিবদের ফিল্ডিংয়ের ধার বাঁড়াতে কাজ করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রায়ান কুক।
অভিজ্ঞ ফিল্ডিং কোচ থাকলেও মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রায়ই ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ছাড়াও সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। যে কারণে দলের ফিল্ডারদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে বোর্ড।

জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। তাঁর ধারণা, কোনো নির্দিষ্ট পজিশনের ফিল্ডিং করতে পারে এমন ক্রিকেটার খুব কমই আছেন দলে।
সাব্বির-তামিমরা বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে পারদর্শী হলেও তাদের অনেক সময় দেখা যায় ৩০ গজের ভিতরে। আবার লিটন-সৌম্যরা স্লিপ এবং ৩০ গজের মধ্যে বিচক্ষণ ফিল্ডিং করতে পারলেও তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়ে সীমানায়।
যেজন্য সুজন চাইছেন, নির্দিষ্ট পজিশনের জন্য নির্দিষ্ট ফিল্ডার তৈরি করতে। সাব্বির-লিটনদের মাঠে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। আর ক্রিকেটারদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী এই পজিশন ঠিক করতে হবে বলে মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
সুজন বলেন, 'বাউন্ডারি লাইনে যারা ফিল্ডিং করে তাদের সঙ্গে বাকিদের শক্তিমত্তার খানিকটা পার্থক্য রয়েছে। সবাই সব পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে না। তাই আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে, যা আমরা মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারব।'
সুজন আরও বলেছেন, 'অনেক সময় ডিপ অঞ্চলে যখন ফিল্ডিংয়ের জন্য দাঁড়াই তখন আমরা সঠিক ফিল্ডিং পজিশনে দাঁড়াই না। যে কারণে বলের ফ্লাইট এবং গতি ধরে পারি না অনেক সময়। সে জন্য অনেক সময় ক্যাচ মিস যায় আমাদের। আমাদের গতি এবং তীব্রতা এর পেছনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যার জন্য আমরা বাকিদের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে।'