বাংলাদেশের এমন দুর্দশার মূলে সাকিব!

ছবি: ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় হয়েও সেটা বুঝতে পেরেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। সাকিব না থাকায় লঙ্কানদের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ, এমনই বলতে চেয়েছেন করুনারত্নে।
বিশ্বকাপ শেষে হজ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে ছুটি চেয়ে নিয়েছেন সাকিব। যে কারণে সাকিবকে ছাড়া ভারসাম্য পায়নি বাংলাদেশ, মনে করেছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে করুনারত্নে বলেন, ‘প্রধান ব্যাপার হচ্ছে সাকিবের অনুপস্থিতি। সে দলে দারুণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে মনে হচ্ছে সাকিবকে ছাড়া ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়তে সমস্যা হচ্ছে তাদের। আমার মনে হয় বিশ্বকাপের পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা দল হিসেবে খেলছি। এই কারণেই আমরা ভালো খেলছি।

যদি বিশ্বকাপ দেখেন, সাকিব এবং মুশফিকের কারণে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। এই দুই ব্যাটসম্যানই পুরো বিশ্বকাপে দলকে টেনেছে। তারা দারুণ ব্যাটিং করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে বড় রান সংগ্রহ করেছে। যে কারণে বাংলাদেশ ২৫০ থেকে ৩০০ রানের বেশি করতে পেরেছে।’
বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন সাকিব। এ ছাড়া বল হাতে নেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপ ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে ৫০০ রান এবং ১০ উইকেট নিয়ে রেকর্ডবুকে নতুন পাতা যোগ করেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের বিকল্প কাউকে দেখছেন না করুনারত্নে। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই অবদান রাখা সাকিবের অনুপস্থিতিই বাংলাদেশের ফলাফলে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন লঙ্কান দলপতি।
'যখন তাদের দলে সাকিব থাকে না, এর মানে বোলিং এবং ব্যাটিং দুই বিভাগেই অভাব অনুভূত হয়। আমি সাকিবের বিকল্প কাউকেই দেখি না। সাকিবের জায়গায় ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের জন্য আলাদা দুজনকে নিতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে তারা দলে ভারসাম্য আনতে পারে না এবং সেটা ফলাফলে প্রভাব ফেলে।’ বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।
করুনারত্নের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও নিশ্চয়ই সাকিবের অনুপস্থিতির ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন। দুঃসময়ে দলের সেরা ক্রিকেটারের অভাবও হয়তো ভীষণভাবে অনুভব করছেন তামিম-মুশফিকরা। যদিও দলে নেই এমন কাউকে নিয়ে কথা বলার পক্ষে নন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।