মুস্তাফিজদের নতুন বলের সমস্যা ঘোচাতে চান ল্যাঙ্গেভেল্ট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নতুন বলে উইকেট নেয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশ দলের পেসারদের নেই বললেই চলে। দলটির নব নিযুক্ত পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট এই সমস্যাকে সর্বপ্রথম সমাধান করতে চান।
সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের বিশ্বাস, দলের সাফল্যের মূলে রয়েছে নতুন বলে ধারাবাহিক বোলিং। এর বিকল্প দেখছেন না তিনি। বাংলাদেশের পেসারদের সেভাবেই তৈরি করতে চান ল্যাঙ্গেভেল্ট।

‘সব ফরম্যাটে আপনাকে নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে। একই লেন্থে ধারাবাহিকভাবে বল করে যাওয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে আপনার। ব্যাটসম্যানকে বিরূপ পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি বল সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে।’ বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই বোলিং কোচ।
বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকেও মূল্যবান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট। তিনি বিশ্বাস করেন, শুধুমাত্র কাটার ব্যবহার না করে কীভাবে বল সুইং করানো যায়, সেটা শেখা মুস্তাফিজের জন্য জরুরি।
‘যদি সেরা হতে চান, তাহলে নতুন বলে আপনাকে ধারাবাহিক হতে হবে। একই লেন্থে বল করার ধারাবাহিকতা থাকতেই হবে। মুস্তাফিজুর রহমান গতিতে বৈচিত্র্য এনে বোলিং করায় পারদর্শী। কিন্তু নতুন বলে এটা খুবই কঠিন। উইকেটে সব সময় গ্রিপ পাওয়া যায় না। আমার কাছে বলের সিম পজিশন সোজা রাখাই শ্রেয় মনে হয়। সে খুব বেশি অফ কাটার ব্যবহার করে। কিন্তু আমার কাছে মূল হচ্ছে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য সুইং দিয়ে ভেতরে বল ঢোকানো এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বেলায় বল বের করে দেয়া।’
বিশ্বকাপে নতুন বলে বাংলাদেশের বোলারদের পারফর্মেন্স ছিল খুবই নাজুক। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৭টি উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা। যেখানে ১০৫.০০ গড়ে বোলিং করেছেন তারা।
মুস্তাফিজ বিশ্বকাপে ২০ উইকেট নিয়েছেন কিন্তু সবগুলো উইকেটই তিনি পেয়েছেন ৩০ ওভারের পর। বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সফরেও নতুন বলে সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকের ওভারে ব্যাটে-বলে বাজে পারফর্মেন্সের কারণে তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে তামিম ইকবালের দল।