মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে বলেছিলেন সাকিব!

ছবি: ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ার ম্যাচ। শেষ ২০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১৭ রান। মারকাটারি ক্রিকেটের যুগে এই লক্ষ্য কঠিন হলেও অসম্ভব বলা যায় না। কিন্তু দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে চেষ্টার কোনো ছাপ দেখতে পাননি সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যা মেনে নিতে পারেননি সাকিব।
যে কারণে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে একাদশে মাহমুদউল্লাহকে না রাখার সুপারিশ করেছিলেন সাকিব! বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমের এক বিশ্বস্ত সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিষয়টি জানিয়েছে।

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ার ম্যাচে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান সাকিব। রানের চাহিদা যখন ঊর্ধ্বমুখী সে সময় ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসকে এক ওভারে ৩ চার মেরেছেন এই বাঁহাতি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে ১১৯ বলে ১২১ রানে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৮ বলেই ৩ বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ নিস্তেজ ব্যাটিং করে যান, যেন হাতের নাগালেই লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাহমুদউল্লাহর এমন ব্যাটিংয়ে ক্ষিপ্ত হন সাকিব। তাই টিম মিটিংয়ে মাহমুদকে বাদ দেয়ার কথা বলেন দলের সহ-অধিনায়ক। ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া সূত্রের ভাষ্য, 'সাকিবের মতে, মাহমুদউল্লাহ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জেতার কোনো অভিপ্রায় দেখায়নি।'
'৪১ বলে মাত্র ২৮ রানের ইনিংস খেলেছে সে, যেখানে বাংলাদেশের ২০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৯০ রানের মতো (২১৭ রান)। সেই সময় ড্রেসিং রুমের সবাই বিশ্বাস করেছিল এই রান তাড়া করা সম্ভব। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের ধরণ জেতার জন্য ছিল না এবং এটা মেনে নিতে পারেনি সাকিব।'
বিশ্বকাপে ৮৯.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে ছয় নম্বরের দায়িত্ব পালন করতে নামা ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইক রেট প্রয়োজন একশ'র ঊর্ধ্বে।