স্টার্ক-কামিন্সকে ভয় পাওয়া জরুরী

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গতির ঝড়ের সঙ্গে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ফ্রন্ট লাইন পেসার মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উইকেট শিকারি সেরা পাঁচ বোলারের তালিকায় রয়েছেন এই দুইজন। শুধু তাই নয়, পাঁচ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেওয়া প্রতিপক্ষের ৪১টি উইকেটের ২৪টিই নিয়েছিলেন স্টার্ক এবং কামিন্স। তাই এই দুই পেসারকে ভয় পাওয়া স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য যুক্তিযুক্ত।
নতুন কিংবা পুরনো, দুই বলেই কার্যকরী স্টার্ক-কামিন্স। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বোলিং করে গেছেন প্রতিটি ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন স্টার্ক। একাই ক্যারিবীয়দের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়া ম্যাচে অজিদের জয়ে বড় অবদান ছিল কামিন্সের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দিতে বেশ পটু তিনি। সেই ম্যাচেও সময় উপযোগী বোলিং করে তিনটি মূল্যবান উইকেট এনে দিয়েছিলেন দলকে।
বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ বোলারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্টার্ক। ৫.৪১ ইকোনমি এবং ১৯.১৫ গড়ে প্রতিপক্ষের ১৩টি উইকেট ঝুলতে পুরেছেন ডানহাতি এই গতিদানব। কামিন্সের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। ৪.৪৮ ইকোনমিতে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ১১টি। ১৮.৪১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স।
বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতেই হবে এই দুইজনকে। তাঁদের বিপক্ষে সাজাতে হবে সূক্ষ্ম পরিকল্পনা। তাহলেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সহজ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। স্বভাবতই, নতুন বলে বোলিংয়ে আসবেন স্টার্ক এবং কামিন্স। তাদেরকে খুবই দক্ষতার সাথে সামাল দিতে হবে বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারকে।
ইনিংসের শুরু থেকে বলের মেধা বুঝে খেলতে হবে তাঁদের। একই সাথে উইকেটে থিতু হয়ে থাকতে হবে। ৫০ ওভার ব্যাটিং করে আসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে টাইগারদের। সহজাত ব্যাটিংয়ে করে অস্ট্রেলিয়ান এই দুই পেসারকে সামাল দিতে পারলেই সাফল্য অনেকটাই হাতের কাছে চলে আসবে বাংলাদেশের।