অজিদের হারানোর সূত্র

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের দেখা হয়েছে মাত্র দুইবার। জয় তো অনেক দূরে, সেই দুই ম্যাচে প্রতিযোগিতাও দেখাতে পারেনি টাইগাররা। অজিদের বিপক্ষে প্রতিবারই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। আজ (২০ জুন) তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে দুই দল।
এই ম্যাচেও যথারীতি ফেভারিট পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরাই। তবে বর্তমান বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও সমীহ করছে অস্ট্রেলিয়া। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় বেশ কয়েকবার দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ম্যাচেও বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিনিয়ে এনেছে মাশরাফিরা।
এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ভালো কিছু করতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ জয় পেলে সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে তার???। যদিও শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মুখের কথা নয়। এর জন্য সূক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করতে হবে মাশরাফিদের।

শুরুতেই অজিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ডে আঘাত হানতে হবে। অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের মেরুদন্ড বললে ভুল হবে না। কারণ এই তিনজনকে দ্রুত সাজঘরের পথ দেখাতে পারলেই অস্ট্রেলিয়াকে ৩০০ রানের নিচে বেঁধে রাখা সম্ভব। আর ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩০০ রান তো স্বাভাবিক ঘটনা।
ফিঞ্চ, ওয়ার্নার এবং স্মিথকে বলা যায় অস্ট্রেলিয়ার ত্রিমূর্তি। চলমান বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ৫টি ম্যাচের স্কোর কার্ডে তাকালেই স্পষ্ট ব্যাটিং বিভাগে তাদের অবদান। এদের ব্যাটে ভর করেই পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতেছে অজিরা।
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফিঞ্চ। এক সেঞ্চুরি এবং দুই হাফ সেঞ্চুরিতে তাঁর রানের সংখ্যা ৩৪৩। বাঁহাতি ওয়ার্নার এক সেঞ্চুরি এবং দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮১ রান নিয়ে রয়েছেন পঞ্চম অবস্থানে। তিন সেঞ্চুরিতে স্মিথের সংগ্রহ ২৪৩ রান।
এই বিশ্বকাপে এই তিনজনের মিলিত রান ৮৬৭। দলের বাকি খেলোয়াড়রা মিলে রান সংগ্রহ করেছেন ৫৯৭। এর মানে পাঁচ ম্যাচে ১৪৬৪ রান অস্ট্রেলিয়ার ৫৯.২৫ শতাংশ রানই এসেছে ফিঞ্চ, ওয়ার্নার এবং স্মিথের ব্যাট থেকে। সুতরাং বাংলাদেশের জন্য এই তিনজনই হবেন ভয়ের কারণ।
জিততে হলে এদের বিপক্ষেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে টাইগারদের। এদের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন স্মিথ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর রেকর্ড আশাজাগানিয়া। চার ম্যাচের তিন ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে মাত্র ২৮ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, সর্বোচ্চ অপরাজিত ২২ রান। যে দুইবার আউট হয়েছেন, সেটা বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দি শুভর বলে।
বিশ্বকাপের দলে নেই শুভ, তাহলে আজকের ম্যাচে স্মিথকে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে। ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে রুবেল হোসেনের বলে লেগ বিফোর হয়ে আউট হয়েছিলেন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে।
এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে একমাত্র ওয়ার্নারই একবার অপরাজিত ছিলেন। বাকি চার ম্যাচে স্পিনার এবং পেসারদের বিপক্ষে সমান দুইবার আউট হয়েছেন। স্মিথ পাঁচবারের তিনবার পেসার এবং দুইবার স্পিনাদের বলে আউট হয়েছেন। অধিনায়ক ফিঞ্চ চারবারই আউট হয়েছে পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে, একবার হয়েছেন রান আউট। বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচ অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে এই তিনজনের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে বাংলাদেশকে।