আবাহনীর রানমেশিন জহুরুল
ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এবারের ঢাকা লীগে তৃতীয় সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল আবাহনীর ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমির। তবে অপরাজিত ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েছেন তিনি। কঠিন উইকেটে আবাহনীর টপ অর্ডার যেখানে ব্যর্থ, সেখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জহুরুল। সাইফউদ্দিনের সাথে নব্বই ছাড়ানো জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন জহুরুল, ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সাইফ।
ম্যাচ শেষে নিজের সহজাত ভঙ্গিমায় নিজের কৃতিত্ব এড়িয়ে সাইফের ইনিংসকে বাহবা দিলেন ম্যাচ সেরা জহুরুল। সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ছয়টা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তবে আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক লম্বা। এরপরও মিরাজ বাইরে ছিল, মাশরাফি ছিল। সানজামুলও ভালো ব্যাট করে।

'উইকেটটা একটু আনইভেন ছিল। বেশি শট খেলা সম্ভব না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা বেশি শট খেলতে গিয়েছিল। খুব দ্রুত ৩টা উইকেট পড়ার পর আমার আর মিঠুনের একটা সুন্দর জুটি হয়। রুম্মান দ্রুত আউট হওয়ার কারণে আবার চাপে পড়ি। সাইফউদ্দিন আবারো... প্রথম ম্যাচে ভালো জুটি ছিল। আজকেও ভালো করেছে। ওর মানসিক শক্তি খুবই ভালো। ও তো মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। খুব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল সাইফের ইনিংসটি।‘
এবারের ঢাকা লীগে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৮৭ গড়ে ৫২২ রান করে সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষে আছেন জহুরুল। লীগের শুরু থেকেই ইনজুরির সাথে লড়াই করে ছন্দ ধরে রেখেছেন তিনি। এবারের লীগে জহুরুলের দুটি সেঞ্চুরি এসেছে দুটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে। লীগের প্রথম ম্যাচে উত্তরার বিপক্ষে কঠিন উইকেটে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কব্জির ইনজুরি নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ১৪৭ বল খেলেছেন জহুরুল।
বিকেএসপিতে গাজি গ্রুপের বিপক্ষে লীগের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির চরিত্র ছিল ভিন্ন। গাজির বিপক্ষে ১৩৮ বলে ১৩০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৯১ রানের ইনিংস ছাড়াও মোহামেডানের বিপক্ষে ৯৬ রানের ইনিংসটি ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে জহুরুলকে। অভিজ্ঞতা ও ফর্মের মিশেল আবাহনীর ব্যাটিংয়ের স্তম্ভে পরিণত হয়েছেন জহুরুল।
‘এটা আসলে বলা যাবে না সেরা সময়। অনেক দিন ক্রিকেট খেলছি, আমার ওপর ক্লাবেরও একটা আশা আছে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ প্লেয়াররাই আসলে ম্যাচ উইনার হয়। এতদিন ক্রিকেট খেলছি। স্বাভাবিক মনে হয়, যদি ফর্মে থাকি তাহলে আমাকেই রান করতে হবে। একটা টুর্নামেন্টে সবাই রান করে না, যারা রানে থাকে তাদেরই দায়িত্ব নিতে হয়। কিছু প্লেয়ারের খারাপ সময় যায়ই একটা টুর্নামেন্টে। আমরা যারা রানে আছি তাঁরা যদি রান করি, তাহলে ওদেরও ফিরতে সুবিধা হবে,‘ বলেছেন জহুরুল।