সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল প্রাইম ব্যাংক

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
খেলাঘরের দেয়া ১৯৬ রানের মাঝারি পুঁজি তাড়া করতে জিততে আট উইকেট হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ১৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। খেলাঘরের ফিল্ডাররা তিনটি ক্যাচ না ছাড়লে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত।
উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা উইকেটে থিতু হয়েও লম্বা ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করে আসতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত বল হাতে প্রথম ইনিংসে প্রাইম ব্যাংকের নায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে ভর করে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।ওপেনার রুবেল মিয়ার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস।
বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল আরেক ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের। একবার জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৩৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। আল আমিন, সুনীল চ্যাটার্জি, জাকির হাসানের পর ব্যর্থ হয়েছেন অলক কাপালিও।

নাহিদুল ইসলাম ও আরিফুল হক জুটি বেঁধে বিপদ সামাল নিলেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেনি এই জুটি। ৪৩তম ওভারে ৩১ রানে ভালো খেলতে থাকা নাহিদকে আউট করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনলেও আরিফুলের অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস প্রাইম ব্যাংককে ডিপিএলের প্রথম ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করে।
প্রাইম ব্যাংকের কাজ কঠিন করেছে খেলাঘরের দুই পেসার রবিউল হক ও মোহাম্মদ ইরফান। রবিউল দুটি ও ইরফান তিনটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে খেই হারায় খেলাঘরের টপ অর্ডার। আল আমিন ও আরিফুল হক দারুণ বোলিং করে উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে।
দুইজনই নিজেদের প্রথম স্পেলে একটি করে উইকেট শিকার করেন। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অমিত মজুমদার ও অশোক মানেরিয়া। কিন্তু রাজ্জাক ও অলকের স্পিনে ধস নামে খেলাঘরের মিডেল অর্ডারে। মিডেল অর্ডারের বেশ প্রায় সব ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হয়ে আউট হয়েছেন।
শেষের দিকে নাজিমউদ্দিন ২৯ রান যোগ করায় খেলাঘরের স্কোর ১৯৫ রানে গিয়ে পৌঁছায়। তাঁকে সঙ্গ দেন দুই বোলার মাসুম খান ও রবিউল হক।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন আরিফুল হক। ৭.৫ ওভার বল করে প্রাইম ব্যাংকের সবচেয়ে সফল বোলার চার উইকেট শিকার করা আরিফুল। মাত্র ২৪ রান খরচা করেছেন তিনি। এছাড়া অলক কাপালি তিন উইকেট শিকার করেন।