পেসারদের স্বর্গ রাজ্য সেডন পার্ক?

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের উইকেটে যে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তা বলাই বাহুল্য। কেননা আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য প্রথম টেস্টে সবুজ গালিচায় ঢাকা উইকেটে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
আর এই ধরণের উইকেটে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তা ভালোই জানা আছে বাংলাদেশের। বলা যায় বাংলাদেশের জন্য উইকেটে একটি সবুজ 'ফাঁদ' বিছিয়ে রেখেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
সুতরাং আগামীকাল শুরুতে ব্যাটিং করতে নামলে যে যথেষ্ট বিপদে পড়তে হবে টাইগারদের তা সহজেই অনুমেয়। এক্ষেত্রে ম্যাচটিতে টস অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দুই দলের জন্যই।

এই উইকেট থেকে অন্তত প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সুবিধা পাচ্ছেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এই ধরণের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত থাকায় তাদের জন্য শুরুতে ব্যাটিং করা খুব বেশি কঠিন নাও হতে পারে।
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পীঠ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসা দলটির জন্য এই সবুজাভ উইকেট হতে পারে নরককুন্ড।
অবশ্য তামিম, মাহমুদুল্লাহ, মমিনুলদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরা যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেন তাহলে সাফল্য বয়ে আনা অসম্ভব কিছু হবে না টাইগারদের জন্য।
বিশেষ করে টেস্টের প্রথম সেশনটি দেখে শুনে খেলতে হবে তাদের। পাশাপাশি গড়তে হবে একটি বড় জুটি। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার কাজটি করতে হবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে।
উল্লেখ্য হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে টেস্ট খেলেছিলো বাংলাদেশ। সেবার ইনিংস এবং ৫২ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো তারা কিউইদেরর কাছে। এরপর ২০১০ সালে ১২১ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো টাইগাররা কিউইদের বিপক্ষে।