হ্যামিল্টনেও টাইগারদের ছায়া সঙ্গী 'হতাশা'

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আগামীকাল মাঠে নামতে যাচ্ছে সফরকারী বাংলাদেশ এবং স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এই মাঠটি একেবারে অপরিচিত নয় বাংলাদেশের জন্য। কেননা এখন পর্যন্ত এই মাঠে মোট দুই বার টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে টাইগারদের। যদিও প্রতিবারই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলা শেষ করতে হয়েছে তাদের।

২০০১ সালে সর্বপ্রথম সেডন পার্কে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার ইনিংস এবং ৫২ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো সফরকারীরা। সেই ম্যাচে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন টাইগার অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৯৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক কিউইরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনের লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের বোলিং তোপে মাত্র ১০৮ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিলো তারা। ফলে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে নিতে হয় পাইলট বাহিনীকে।
সেডন পার্কে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলতে নেমেছিলো ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেবার অবশ্য ইনিংস ব্যবধানে নয়, কিউইদের কাছে তারা পরাজিত হয়েছিলো ১২১ রানে। সেবারও শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৫৫৩ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। জবাবে অবশ্য ভালোই ব্যাটিং করেছিলো বাংলাদেশ।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে ৪০৮ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। এরপর ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ফলে ৪০৪ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ২৮২ রানে গুঁটিয়ে যায় তারা। ফলে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল।
এবার দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে খেলবে বাংলাদেশ। পূর্বের পরিসংখ্যান পাল্টানোর লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল কিউইদের বিপক্ষে লড়বে তারা।