বাংলাদেশের একাদশে চার পেসার?

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হ্যামিল্টনের স্যাডন পার্কে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টায় মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচে চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারে বাংলাদেশ।
মূলত নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ও পিচের কথা মাথায় রেখে পেস বোলিং নির্ভর একাদশ সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। টাইগারদের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন মুস্তাফিজুর রহমান।
তাঁর সঙ্গে থাকবেন সিলেটের তিন পেসার আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। গত বছরের নভেম্বরে সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছে রাহীর। সেই সিরিজেই ঢাকা টেস্টে সাদা জার্সি গায়ে তোলেন খালেদ আহমেদ।
তবে এখনও বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলা হয়নি এবাদত হোসেনের। এই পেসার আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে টাইগার পেসারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

'রাহি আমাদের দলের প্রিমিয়াম ফাস্ট বোলার। দলের সঙ্গে থেকে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছে ভালো পারফর্ম করেছে। এবাদত নতুন ট্যালেন্ট সঙ্গে পেসও আছে তাঁর বোলিংয়ে। মুস্তাফিজ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, তাঁর অভিজ্ঞতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। সব মিলিয়ে এখন মাঠে গিয়েই আসল কাজটা করতে হবে।'
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের। তাঁর বদলে একাদশে জায়গা পেতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর উইকেটের পেছনের দায়িত্বে থাকবেন লিটন দাস।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদও মুশফিকের খেলা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অপরিহার্যতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাকিব-মুশফিকের অবর্তমানে যারা একাদশে জায়গা পাবেন তারা সেই সুযোগটা লুফে নিবেন বলেই বিশ্বাস রিয়াদের।
'সে ঠিক হচ্ছে ধীরে ধীরে, হয়তো কালকের ম্যাচে আমরা ওকে পাচ্ছিনা। যেটা আগেই বললাম মুশফিক এবং সাকিব দুজনই আমাদের দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওরা দুজন দলের জন্য কতটুক অপরিহার্য এটা আমরা সবাই জানি। ওরা দলের পারফর্মার। সেই সঙ্গে যারা ওদের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পাচ্ছে তাঁরা যেন নিজেদের প্রস্তুত রাখে। দুই হাতে যেন সুযোগটাকে লুফে নিতে পারে তাঁরা।'
তামিমের সঙ্গে এই ম্যাচে ওপেনিংয়েই দেখা যাবে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হওয়া সাদমান ইসলামের। ওয়ান ডাউনে বরাবরের মতোই থাকবেন মমিনুল হপক। এরপর লিটন, মিঠুন ও মাহমুদুল্লাহদের কাঁধে থাকতে পারে মিডেল অর্ডারের দায়িত্ব।
স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা মিলতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজের। অথবা তাঁর জায়গায় খেলানো হতে পারে বিশেষজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম অথবা নাঈম হাসানকে।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য): তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, মমিনুল হক, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন।