ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রাইস্টচার্চে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসনের আমন্ত্রণে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
এদিন ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শুরু দিকে উইকেটে টিকে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু ধৈর্য ধরে না খেলে ট্রেন্ট বোল্টকে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লকি ফাগুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন। ৪ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি।
লিটন বিদায় নেয়ার খানিক পরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পর ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের সপ্তম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। ৫ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুটা ভালো পেয়েছিলেন সৌম্য।
১৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য ক্রিজে থেকে লড়াই করে যাচ্ছিলেন সৌম্য এবং মুশফিক। কিন্তু ব্যক্তিগত ২২ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে রস টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। সৌম্য বিদায় নেয়ার পরের ওভারে লকি ফারগুসনের বলে স্লিপে রস টেইলরের হাতে ১৪ রানে জীবন পান ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের ক্যাচ ছাড়ার পর লকি ফারগুসনের পরের ওভারে স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ ফেলেন টেইলর। জোড়া জীবন পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওয়ানডের মত দ্বিতীয়টিতেও ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।

এর খানিক পর বোলিংয়ে আসা টড অ্যাস্টলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রিয়াদ। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারালেও সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিঠুন। মুশফিক জীবন পেয়ে কাজে না লাগাতে পারলেও সুযোগ হাতছাড়া করেন নি তিনি।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে ৫০ রানের জুটিও গড়েন তিনি। ফিফটি তুলে নেয়ার আগে অবশ্য হামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মিঠুন, যেকারণে দৌড়াতে পাড়ছিলেন না ঠিক ভাবে।
তাই বড় শট খেলেই রান তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেশী হাত খুলে খেলতে গিয়ে টড অ্যাস্টলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। ৫৭ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর ক্রিজে নেমে সাব্বিরকে খানিকক্ষণ সঙ্গ দিলেও জিমি নিশামকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে উইকেট বিলিয়ে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
৭ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে ভালো স্কোর এনে দেয়ার জন্য ক্রিজে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাব্বির এবং সাইফুদ্দিন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সাব্বিরকে এবং ১০ রাএ সাইফুদ্দিনকে বিদায় করেন লকি ফারগুসন।
শেষের দিকে অধিনায়ক মাশরাফি সঙ্গী মুস্তাফিজকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে অল্প কিছু রান যোগ করলেও ৪৯.৪ বলে ২২৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। কিউইদেড় পক্ষে লকি ফারগুসন নেন ৩টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ
২২৬ অল আউট (৪৯.৪ ওভার)
(মিঠুন ৫৭, সাব্বির ৪৩*) (লকি ফারগুসন ৩/৪৩)