১৫০ কিমিঃ গতির বল খেলে অভ্যস্ত নাঃ মিথুন

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং বিভাগের সামনে প্রথম ওয়ানডেতে খুব বেশী সুবিধা করতে পারে নি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। ট্রেন্ট বোল্ট-ম্যাট হেনরিতে ১৪০-১৫০ কিমি গতির সামনে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশ দলের টপ এবং মিডেল অর্ডার। গতির পাশাপাশি বাতাসের সাহায্যও পেয়েছে কিউই বোলাররা। প্রথম ওয়ানডেতে এমন ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন জানিয়েছেন ১৪০-১৫০ গতির বল খেলে অভ্যস্ত না বাংলাদেশ দল, যেকারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের।
নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে বড় প্রস্তুতি ছাড়াই মাঠে নেমে গিয়েছে বাংলাদেশ দল। বিপিএলের টি-টুয়েন্টি ফরম্যাট থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তেনর পাশাপাশি সেখানকার কন্ডিশন এবং উইকেট বুঝে উঠার সময় পায় নি মাশরাফি বাহিনী। সেই সঙ্গে ভ্রমণ ক্লান্তি তো রয়েছেই।
ঘরের মাঠে যেখানে ১৩০-১৪০ গতির বোলিংয়ে খেলে অভ্যস্ত টাইগাররা, সেখানে প্রথম ওয়ানডেতে ১৫০ কিমি গতির বোলিং তাঁদেরকে সমস্যায় ফেলেছে। সেই সঙ্গে সুইংয়ের বিপক্ষেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাঁদের। মিথুন জানান,

‘ আমরা তো এরকম গতির বল খেলে অভ্যস্ত না। ১৫০ কি.মি তে বল করছে, প্রতি বোলার ১৪০কি.মির উপরে বল করছে। আমরা বাংলাদেশি কন্ডিশনে ১৩০ এ খেলে অভ্যস্ত। ওখান থেকে ১৪০-১৫০ কিমি খেলতে কিছুটা সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।
‘সবাই জানে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নতুন বলে অনেক স্যুয়িং করায়। আমরা সেই স্যুয়িংয়ে অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওখানেই ব্যাকফুটে চলে যাই। তারপর ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। কারণ খানিক পর পরই উইকেট পড়ছিল। যদি আমরা জুটি গড়তে পারতাম।’
সময়ের সাথে সাথে অবশ্য সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি হাঁকানো মিথুন। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচে নতুন ভাবে মাঠে নামতে মরিয়া এখন তাঁরা। মিথুন আরও জানান,
‘যেখানেই খেলি মানিয়ে নিতে পারা খুব দরকার। মানিয়ে নিতে না পারলে ভাল ফল আনার সম্ভাবনা খুবই কম। এই মানিয়ে নেওয়াটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।
'প্রতি ম্যাচই নতুনভাবে নামতে হয়। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ইতিবাচক ফল আনতে হবে।’