সিরিজ আয়োজনে উইন্ডিজদের ঋণ দিয়েছিল বিসিবি!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে যে উইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল, সেই সিরিজটি আয়োজন করতে উইন্ডিজ বোর্ডকে ঋণ দিয়েছিল বিসিবি। সিরিজ আয়োজনে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডাব্লিউআই) প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছে সিরিজ আয়োজনে সহায়তা চেয়েছিলেন। তানাহলেে সিরিজটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উইন্ডিজ বোর্ড সভাপতি।
উইন্ডিজ সফরের আগে (সিডব্লিউআই) সভাপতি ডেভ ক্যামেরন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই তাঁদের। সেক্ষেত্রে বিসিবি যদি তাঁদের ঋণ দিয়ে সহায়তা করে তাহলেই সিরিজটি আয়োজন করা সম্ভব নাহলে সফরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়ার আভাস দেন তিনি। সঙ্গে বিসিবিকে একটি চিঠিও দেন উইন্ডিজ বোর্ড প্রধান।
যেখানে লিখা ছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আয়োজন করতে তাদের আনুমানিক তিন মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় হবে। যদিও ক্যারিবীয় বোর্ড ঋণ চেয়েছিল দেড় মিলিয়ন ইউএস ডলারেরও বেশি। এই প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন,

'আশা করছি, এবার সব মিলিয়ে ১২-১৩ মিলিয়ন ডলার পাব আমরা। আমাদের নগদ প্রবাহ বেশি। তাই ক্যারিবীয় বোর্ডকে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে বিসিবির আর্থিক শক্তিই প্রমাণিত হয়েছে। এখানে আইসিসিকে সাক্ষী বলতে পারেন।
'নিজেদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সিডাব্লিউআই আমাদের অনুরোধ করে। আমরাও দেখলাম যে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ এই অর্থ আইসিসির মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় আইসিসিও একটি অংশ। ক্যারিবীয় বোর্ডের রাজস্ব আয়ের ভাগ থেকে কেটে আইসিসি আমাদের অর্থটা দিয়ে দিচ্ছে।’
২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্য বার্ষিক দ্বিতীয় কিস্তির ৪.৫ মিলিয়ন ডলার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার সিডব্লিউআইকে দেয় আইসিসি। শর্তমতে, ২০১৯ সালে ক্যারিবীয় বোর্ডের প্রাপ্য দুই কিস্তি (জানুয়ারি ও জুলাই) থেকে এক মিলিয়ন ডলার করে কেটে নিবে আইসিসি।
সেই অর্থ সরাসরি চলে যাবে বিসিবির কাছে। তবে ধার দিয়ে আতিথ্য নিতে গেলেও বিসিবি যে বিনা সুদে দুই মিলিয়ন ইউএস ডলার দেয়নি, সেটিও নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাহী। তিনি আরও বলেন,
‘স্ট্যান্ডার্ড যে ইন্টারেস্ট রেট, সেটিই এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে। এটিকে বলতে পারেন জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিবি ৪.৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে ক্যারিবীয় বোর্ডকে। যেটি দৈনিক ‘প্রো-রেটা’ ভিত্তিতে।
'অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পুরোটা পরিশোধে সুদের অঙ্ক আনুপাতিক হারে কমবে, নির্দিষ্ট সময়ের পর শোধ করলে আবার বাড়বেও। তবে আগামী জুলাইয়ে নির্ধারিত সময়েই ঋণের পুরো টাকা সুদসহ ফেরত পাওয়ার কথা আছে বিসিবির।'